Logo

সারাদেশ

মাদ্রাসার জরাজীর্ণ ভবনে পলেস্তারা ধসে ৭ শিক্ষার্থী আহত

Icon

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ১৬:৩৮

মাদ্রাসার জরাজীর্ণ ভবনে পলেস্তারা ধসে ৭ শিক্ষার্থী আহত

ঝালকাঠির রাজাপুরে মাদ্রাসার জরাজীর্ণ ভবনে পলেস্তারা ধসে ৭ শিক্ষার্থী আহত। ছবি : বাংলাদেশের খবর

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ী মোহাম্মাদীয়া দাখিল মাদ্রাসায় শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষার সময় ছাদের পলেস্তারা ও বিমের অংশ ধসে পড়ে অন্তত ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

রোববার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নবম ও দশম শ্রেণির দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দায়িত্বরত শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পরীক্ষা চলাকালে হঠাৎ কয়েক স্থানে পলেস্তারা খসে পড়ে ৬-৭ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে পাশের একটি নিরাপদ কক্ষে তাদের স্থানান্তর করে পরীক্ষার কার্যক্রম চালানো হয়। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক অভিভাবক মাদ্রাসায় ছুটে আসেন সন্তানদের খোঁজ নিতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসায় বর্তমানে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে নির্মিত তিন কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ছাদের বিভিন্ন স্থানে ফাটল, পিলারে চিড় ও ছাদের নিচের অংশ থেকে প্লাস্টার খসে পড়া প্রতিদিনের চিত্র হয়ে উঠেছে।

মাদ্রাসার সুপার মো. আ. মন্নান জানান, বহুবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী বলে মত দিয়েছেন। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রাখার সুপারিশও করেছেন। তারপরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আজকের ঘটনায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা দ্রুত ভবনটি মেরামত ও একটি নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য বরাদ্দের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রধান প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় অভিভাবকরা।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।

মো. আ. রহিম রেজা/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর