গোপালগঞ্জে সহিংসতা : ৪ হত্যা মামলায় আসামি ৬ হাজার

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ১৯:৩২
-(28)-687cefe29afd4.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ঘিরে গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় চারটি পৃথক হত্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জন নেতাকর্মী ও দুষ্কৃতিকারীকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে এসব মামলার তথ্য নিশ্চিত করেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান। তিনি জানান, নিহত রিকশাচালক রমজান মুন্সীর ঘটনায় আরও একটি মামলা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১৭ জুলাই) এনসিপির একটি শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা শেষে নেতাকর্মীরা মাদারীপুরের উদ্দেশে গাড়িবহর নিয়ে রওনা দেন। গোপালগঞ্জ শহরের এসকে সালেহিয়া মাদ্রাসার কাছে পৌঁছালে তাঁদের বহরে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়।
এই হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ১৭ বছর বয়সী রমজান কাজী। তার মৃত্যুর ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আয়ুব হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করেও গুলি চালায়।
এছাড়া, দীপ্ত সাহা (২৭), সোহেল রানা মোল্লা (৩০) ও ইমন তালুকদার (১৭)– এই তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় আরও তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় সদর থানার এসআই শামীম হোসেন, এসআই আবুল কালাম আজাদ এবং এসআই শেখ মিজানুর রহমান বাদী হয়েছেন।
এজাহার অনুযায়ী, দীপ্ত সাহা কলেজ মসজিদের কাছে গুলিবিদ্ধ হন, সোহেল রানা মোল্লা গুলিবিদ্ধ হন লঞ্চ ঘাট এলাকায়, আর ইমন তালুকদার মারা যান সোনালী ব্যাংকের পুরোনো শাখার সামনে গুলিতে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিকশাচালক রমজান মুন্সী (৩২)। তার মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত চারজনের মধ্যে কেবল দীপ্ত সাহার মরদেহ দাহ করা হয়েছে। বাকি তিনজনের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি হলেও এখনো ময়নাতদন্ত হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, বিলম্বে হলেও ময়নাতদন্ত করা হবে। তবে দীপ্ত সাহার মরদেহ দাহ হয়ে যাওয়ায় তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সহিংসতার এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
- এমআই