Logo

সারাদেশ

খাপড়াভাঙ্গা নদীতে পলিথিন দূষণ, হুমকিতে মাছ ও জীববৈচিত্র্য

Icon

জাকারিয়া জাহিদ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১৯:২২

খাপড়াভাঙ্গা নদীতে পলিথিন দূষণ, হুমকিতে মাছ ও জীববৈচিত্র্য

ছবি : বাংলাদেশের খবর

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপকূলীয় খাপড়াভাঙ্গা নদী প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়েছে। আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দরের ব্যবসায়ীদের ব্যবহৃত বর্জ্য প্রতিদিন নদীতে ফেলা হচ্ছে।

সেখান থেকে ভাটার টানে প্লাস্টিক ভেসে যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে, যা ধীরে ধীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়ে ক্ষতি করছে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের।

স্থানীয়রা জানান, মাছ সংরক্ষণ ও পরিবহনে ব্যবহৃত পলিথিনের বিকল্প না থাকায় অনেক ব্যবসায়ী এখনো বাধ্য হয়ে তা ব্যবহার করছেন। আবার পলিথিন ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় নদীতেই তা ফেলা হচ্ছে। অথচ এই নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে লক্ষ্মীরহাট, আশাখালী মৎস্যপল্লী ও আলীপুর-মহিপুর বন্দর, যেখান থেকে সরকার বছরে কোটি টাকার রাজস্ব পায়।

আলীপুরের এক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএফডিসির কাছে বারবার আবেদন করেও পলিথিন ফেলার নির্দিষ্ট স্থান পাইনি।’

মৎস্য ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বলেন, ‘পলিথিনের বিকল্প এখনো কার্যকর নয়। মাছ সংরক্ষণের জন্য উপযোগী পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং ব্যবস্থা চাই।’

এআরএস

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পলিথিন নিষিদ্ধ থাকলেও আইন প্রয়োগের ঘাটতি, বিকল্প পণ্যের অভাব এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা নদী ও সাগরের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, “দুটি দপ্তরের মাঝে দায় চাপানোর প্রবণতা নয়, বরং পরিবেশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।”

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। দ্রুত ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে পলিথিন ফেলার নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হবে।”

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর