উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনা
রজনী আর ফিরলেন না, মরদেহ গ্রামে পৌঁছাতেই কান্নার রোল

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ১৬:১২
-687f641ab635c.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
রাজধানীর উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রজনী খাতুনের (৪৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ৯টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হাই সিদ্দিকী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরীসহ শত শত মানুষ অংশ নেন।
রজনী খাতুন ছিলেন সাদিপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি সপরিবারে উত্তরায় বসবাস করতেন। মঙ্গলবার সকালে মেয়ে ঝুমঝুমকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে বিমান দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
রজনীর স্বামী জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েকে আনতে গিয়ে রজনী যে আর ফিরবে না, তা কল্পনাও করিনি। শরীরে পোড়ার চিহ্ন না থাকলেও মাথায় আঘাত ছিল।’
পরিবার জানায়, মেয়ে ঝুমঝুম স্কুলের ক্যান্টিনে থাকায় অক্ষত ছিল। বড় ছেলে রুবাই এইচএসসি পরীক্ষার্থী, আর ছোট ছেলে রোহান সেদিন অসুস্থ থাকায় স্কুলে যায়নি।
রাতেই সামরিক হাসপাতাল থেকে মরদেহ শনাক্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে মরদেহ নিয়ে রাতেই দৌলতপুরের উদ্দেশে রওনা হন স্বজনরা। মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছাতেই কান্নার রোল পড়ে যায়।
ইউএনও আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ‘একজন মায়ের বিকল্প নেই। এ দুর্ঘটনা একটি পরিবারের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে দিয়েছে।’
আকরামুজ্জামান আরিফ/এআরএস