খাগড়াছড়িতে পৌরসভার বর্জ্যে দূষিত ছড়া-নদী, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে স্থানীয়রা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১৬:৪০
-6880bc07e05d4.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
খাগড়াছড়ি পৌরসভার বর্জ্য দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ফেলা হচ্ছে আলুটিলা পাহাড়ের পাদদেশে। প্রবেশমুখেই রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পর্যটক, পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ছড়ায় পড়ে ছড়িয়ে পড়া বর্জ্য নদীতেও পৌঁছাচ্ছে, যার ফলে দেখা দিয়েছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক হুমকি।
স্থানীয়রা জানান, ময়লার কারণে ছড়ার পানি দূষিত হয়ে ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে এসব বর্জ্য নদীতে মিশে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
৩ নম্বর বাঙাল কাটির গ্রামের বাসিন্দা নয়না ত্রিপুরা বলেন, ‘বছরের পর বছর ময়লা ফেলা হচ্ছে ছড়ার পাশে। আমরা বাধ্য হয়ে দূষিত পানি ব্যবহার করছি।’
একই গ্রামের স্বপন জ্যোতি ত্রিপুরা বলেন, ‘বেশ কয়েকবার পৌরসভাকে লিখিতভাবে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তারা।’
পথচারী মো. সোহেল বলেন, ‘জেলায় ঢুকতেই দুর্গন্ধে ভেসে আসে শহর। পরিবেশের সৌন্দর্য একেবারে মাটি হয়ে যায়।’
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের বলেন, ‘বর্জ্য ঠিকমতো না ফেললে এবং পোড়ানো হলে শ্বাসকষ্ট ও পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। দূরে ডাম্পিং জোন ছাড়া স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো সম্ভব নয়।’
খাগড়াছড়ি পৌর প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, ‘জনসচেতনতার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানে অসমাপ্ত ১৪ কোটি টাকার ডাম্পিং স্টেশনটি পুনরায় চালু করতে ডিপিপি করা হচ্ছে।’
সচেতন নাগরিকদের দাবি, ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অন্তত আলুটিলার ময়লা ফেলার পয়েন্টটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হোক।
এআরএস