তুচ্ছ ঘটনায় মারপিট, হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন রিকশাচালক হাসান

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৬:৩৪
---2025-07-27T163304-6886009ab68cd.jpg)
আহত রিকশাচালক মো. হাসান সরদার। ছবি : বাংলাদেশের খবর
পটুয়াখালীর বাউফলে মো. হাসান সরদার (২২) নামে এক অটোরিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এতে তার কিডনিতে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
আহত হাসানের পরিবার জানায়, চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। ঘটনার পাঁচ দিন পর, শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন হাসানের মা পেয়ারা বেগম (৫০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই রাত ৮টার দিকে বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস বাজার এলাকায় অটোরিকশায় বসে মোবাইলে ভিডিও দেখছিলেন হাসান। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা জালাল মোল্লার ছেলে সজিব মোল্লা পেছন থেকে এসে ভয় দেখালে চমকে উঠেন তিনি। এরপর শুরু হয় কথা কাটাকাটি। একপর্যায়ে সজিব মারধর শুরু করলে তার বাবা জালাল মোল্লাও হামলায় যোগ দেন।
পেয়ারা বেগমের অভিযোগ, জালালের লাথির আঘাত হাসানের অন্ডকোষে লাগলে তিনি রক্তবমি করে অচেতন হয়ে পড়েন। সপরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে অর্থ সংকটে পরিবার প্রথমে তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়।
চিকিৎসকেরা জানান, হাসানের কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাকে দ্রুত আইসিইউতে নেওয়া প্রয়োজন।
পরবর্তীতে তাকে ঢাকার সুপারম্যাক্স হেলথকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখা হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
হাসানের মা বলেন, ‘মানুষের বাসায় কাজ করে ছেলেকে বড় করেছি। এখন তার চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছি না। ডাক্তার বলেছে অনেক টাকা লাগবে, কিন্তু আমার কোনো সহায় নেই।’
এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত জালাল মোল্লা ও সজিব মোল্লা।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েছি। অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
- এমআই