Logo

সারাদেশ

চকরিয়ায় বৃদ্ধের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

Icon

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩:০৪

চকরিয়ায় বৃদ্ধের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বৃদ্ধের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার। ছবি : বাংলাদেশের খবর

কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিজের বাড়ি থেকে আবদুর রহিম (৬৪) নামে এক বৃদ্ধের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) রাতে চকরিয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছায়রাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুর রহিম মহেশখালীর মাতারবাড়ি এলাকার লাল মিয়ার ছেলে। তিনি একসময় প্রবাসী ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, রোববার সন্ধ্যার দিকে নাতি আদিবুর রহমান তুহিন (৭) মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে ফিরে বারান্দায় নানা আবদুর রহিমের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের খবর দেয়। পরে পুলিশ রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের একাধিক কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

আবদুর রহিমের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম জানান, কয়েক বছর আগে তারা মহেশখালী থেকে এসে ফাঁশিয়াখালীর ছায়রাখালী এলাকায় স্থানীয় নাজেম উদ্দিন নাজুর ছেলে আবদুল্লাহর কাছ থেকে রিজার্ভ বনভূমি কিনে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। ঘটনার সময় তিনি অসুস্থ ছেলেকে দেখতে মহেশখালীতে ছিলেন। আর নাতি তুহিন মাদ্রাসায় গিয়েছিল। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে আবদুর রহিমকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং ঘরে রাখা ছোট মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো দুই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

ছেনুয়ারা বেগম আরও বলেন, ২০২১ সালে একই বাড়িতে আমার মেয়েকেও হত্যা করে বাড়ির পাশে ফেলে দিয়েছিল। চার বছর পর আবার একই কায়দায় আমার স্বামীকেও হত্যা করা হলো। আমি সন্দেহ করি, যাদের কাছ থেকে আমরা জমি কিনেছি, তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করে আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

মরদেহ উদ্ধার

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর