সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৫:৩২

সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল। ছবি : বাংলাদেশের খবর
সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ সাতজনের বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ আত্মসাৎ, রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠানো, ঘুষের বিনিময়ে আউটসোর্সিং ঠিকাদার ও জনবল নিয়োগসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সুনামগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন হাসপাতালের সাবেক ওয়ার্ডবয় ও মো. তৌহিদ মিয়া। তিনি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা হাছন আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী মোহাম্মদ আমিরুল হক।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাহবুবুর রহমান স্বপন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন, সুনামগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান, হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান জুবায়ের আহমদ, হেলথ এডুকেটর নয়ন দাস, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ও গাউসিয়া ট্রেডার্স সিকিউরিটি ক্লিনিং অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে আজাদ। এছাড়া আরও পাঁচজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. তৌহিদ মিয়া বলেন, হাসপাতালের সকল অনিয়ম দূর করতে হবে। এজন্য আইনজীবীর মাধ্যমে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আইনজীবী আমিরুল হক বলেন, সুনামগঞ্জের একমাত্র সেবামূলক সরকারি প্রতিষ্ঠান সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল। এখানে দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। হাসপাতালের সরকারি ওষুধ বিক্রি হয়ে যায়। আউটসোর্সিং ঠিকাদার ও জনবল নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
তিনি জানান, বিচারক গভীর মনোযোগ দিয়ে বক্তব্য শুনেছেন। আমাদের নালিশ পূর্ণাঙ্গভাবে দেখেছেন। মামলাটি বর্তমানে আদেশের জন্য রয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের স্টাফ নিয়োগের জন্য ঠিকাদার নিয়োগে মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আমি এ সুপারিশ অগ্রবর্তী করি। এরপর আবারও যাচাই-বাছাই শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অনুমোদন করেন। এখানে আমার অনিয়ম করার সুযোগ নেই। হাসপাতালে অনিয়ম কমেছে। দালাল নেই বলব না, তবে আমি যোগদানের পর থেকে প্রতিদিনই অনিয়ম ও দালাল দূর করার চেষ্টা করছি।
মো. আব্দুল হালিম/এমবি