বন্ধ কারখানায় ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ আটক ৬, গণধোলাই

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৫:৫৮
-68889b2cd62ed.jpg)
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বন্ধ পাইপ তৈরির কারখানায় ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ছয় জনকে হাতেনাতে আটক’ করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা।
সোমবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- নেত্রকোনার মতলব উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের গোদা মোল্লার ছেলে ইব্রাহিম (২০), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার মাধবদী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সীমান্ত (২৮), বগুড়ার কামুল্লা উপজেলার মৃত সোহরাবের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৩), নওগাঁর রানীনগর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আলমের ছেলে আরিফ (২৯), ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বভাগাটি গ্রামের সোহেল মিয়া (৩২) ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার তারাইকান্দি গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে এমদাদুল হক (৪৫)।
তাদের মধ্যে সোহেল মিয়া ও এমদাদুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কের পাশে অবস্থিত ‘পিপি এস পাইপ’ তৈরির কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ওই রাতে ১০-১২ জনের একটি ডাকাতদল কারখানায় ঢুকে নিরাপত্তা প্রহরীকে বেঁধে মারধর করে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় পাশের দোকানদারদের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে কারখানাটি ঘেরাও করেন। এক পর্যায়ে তারা ছয় ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দেন। বাকিরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা পারভেজ ডালি জানান, রাত ১২টার দিকে কারখানার ভেতরে থাকা এক ব্যাংক কর্মকর্তা পাশের দোকানদারকে ফোনে জানান ডাকাত ঢুকেছে। পরে দোকানদার আমাকে ফোন করলে আমরা এলাকাবাসী মিলে কারখানা ঘেরাও করি। দৌড়ে পালাতে গেলে ছয়জনকে ধরা হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। এরপর উত্তেজিত জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ এসে আহত অবস্থায় ছয়জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বরমী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নাজমুল আকন্দ রনি বলেন, ডাকাতরা নিরাপত্তাকর্মীকে বেঁধে মারধরের সময় আশপাশের লোকজন বিষয়টি জানতে পারেন। পরে কারখানার চারপাশ ঘেরাও দিয়ে ছয় সদস্যকে দৌড়ে আটক করা হলেও বাকি আরও পাঁচজন পালিয়ে গেছে। আটকের পর তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, কারখানার দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। অভিযুক্ত ছয় ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া শ্রীপুরে বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি ও চুরির ঘটনায় এ গ্রুপ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
সোহেল/এমবি