Logo

সারাদেশ

কাইতলা পশুর হাটে নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ

Icon

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৩

কাইতলা পশুর হাটে নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কাইতলা পশুর হাট। ছবি : বাংলাদেশের খবর

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কাইতলা পশুর হাটে সরকার নির্ধারিত নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে বর্তমান ইজারাদার মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে।

হাটের একটি অংশ সাবলিজ দেওয়া ও শেয়ার বিক্রির মতো গুরুতর অভিযোগ তুলে সাবেক ইজারাদার হেলাল উদ্দিন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সূত্র জানায়, চলতি ১৪৩২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে মাসুদুর রহমান ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ ৫ কোটি ২০ লাখ ৫ হাজার টাকায় হাটটির ইজারা পান। অভিযোগ অনুযায়ী, হাটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরপরই তিনি উপজেলার বাঁশতৈল গ্রামের বিল্লাল হোসেনকে এক বছরের জন্য ২০ লাখ টাকায় ছাগলের হাটের অংশটি লিজ দেন। পাশাপাশি নয়াপাড়া গ্রামের আল-আমিন সিকদারের কাছে ১৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেন ৯৩ লাখ টাকায়। এ বিষয়ে একটি নোটারি এফিডেভিটও রয়েছে।

তথ্যানুযায়ী, ইজারা পাওয়ার পর নতুন ইজারাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ওই এলাকায় একদিনের জন্য যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বিল্লাল হোসেন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘আমি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে হাটের ছাগলের অংশ এক বছরের জন্য সাবলিজ নিয়েছি।’ একইভাবে আল-আমিন সিকদার বলেন, ‘৯৩ লাখ টাকায় মাসুদুর রহমানের কাছ থেকে ১৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছি।’

এ বিষয়ে মাসুদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘স্থানীয় গণ্যমান্যদের সুপারিশে ছাগলের হাটটি ২০ লাখ টাকায় ৫২ সপ্তাহের জন্য দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করতে ৪০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছি। এতে কোনো শর্ত ভঙ্গ হয়নি।’

তবে হাটের সাবেক ইজারাদার হেলাল উদ্দিন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘সরকারি নীতিমালা অনুসারে হাট সাবলিজ দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং তা দেওয়া বেআইনি। অথচ নতুন ইজারাদার তা প্রকাশ্যেই লঙ্ঘন করেছেন। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’

সরকারি হাটবাজার ব্যবস্থাপনা ও ইজারা নীতিমালার ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ইজারাদার কোনো অবস্থাতেই হাট বা এর কোনো অংশ সাবলিজ দিতে পারবেন না। তদুপরি, ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হলে ইজারা বাতিল করা যেতে পারে।

এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কাইতলা হাটের সাবলিজ বা শেয়ার বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিধিমতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাব্বি ইসলাম/এমবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর