মেরামতের সময় বিমানের চাকা বিস্ফোরণে টেকনিশিয়ান নিহত
মো. রেজাউল হক ডালিম, সিলেট
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৮:২৯
নিহত টেকনিশিয়ান রুম্মন আহমেদ। ছবি : বাংলাদেশের খবর
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বোর্ডিং ব্রিজের (বিমানে উঠার সিড়ি) চাকা মেরামতের সময় একটি চাকা ফেটে রুম্মান আহমদ (২২) নামের এক টেকনিশিয়ান নিহত হয়েছেন।
তার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, দুটি হাসপাতালে নেওয়া হলেও আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) না পাওয়ায় রুম্মান মারা গেছেন। আইসিইউতে ভর্তি করাতে পারলে হয়ত তিনি প্রাণে বেঁচে যেতেন।
নিহত রুম্মান সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাধীন টিলাপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ওসমানী বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের বোর্ডিং ব্রিজের চাকা বদলানো হচ্ছিল। সানরাইজ নামক কারিগরি প্রতিষ্ঠানের টেকনিশিয়ানরা এই কাজ করছিলেন। একটি চাকা খোলামাত্র সেটি সজোরে গিয়ে রুম্মান ও তার সহকর্মী এনামুল হককে (২৫) ধাক্কা মেরে সেটি বিস্ফোরিত হয়ে যায়। আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেখানে আইসিইউ-তে সিট খালি না থাকায় গুরুতর আহত রুম্মানকে নেওয়া হয় জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও খালি ছিল না আইসিইউ। রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মারা যান রুম্মান।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান।

রুম্মানের চাচা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আমার ভাতিজাকে দুই-দুইটা হাসপাতালে নেওয়া হলো, কিন্তু সিট মিলল না আইসিইউতে। আইসিইউতে ভর্তি করাতে পারলে হয়ত আমার ভাতিজা প্রাণে বেঁচে যেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওসমানী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও আমাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে খবরটি দেয়নি। হাসপাতালে নেওয়ার অনেকক্ষণ পর আমাদেরকে জানানো হয়েছে। সময়মতো জানলে আমরা অন্য কোনো হাসপাতালে আইসিইউ’র জন্য চেষ্টা করতাম।’
- এমআই

