Logo

সারাদেশ

বাউফলে ফাহিম হত্যা : ৩০ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ, ব্যর্থতা স্বীকার করলেন ওসি

Icon

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ২০:২৩

বাউফলে ফাহিম হত্যা : ৩০ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ, ব্যর্থতা স্বীকার করলেন ওসি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. ফাহিম বয়াতি (২০) হত্যাকাণ্ডের ৩০ দিন পার হলেও অধিকাংশ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি—মৃত্যুদণ্ড—দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার সীমান্তবর্তী ধলু ফকিরের বাজারে ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, নারী-পুরুষসহ কয়েকশ মানুষ অংশ নেন।

নিহত ফাহিম পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের ভাঙা এলাকার বাসিন্দা মো. জাকির বয়াতির ছেলে। তিনি নওমালা আবদুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মো. জাফর প্যাদা, আবু বকর, ইব্রাহিম মৃধাসহ নিহতের স্বজনরা।

বক্তারা অভিযোগ করেন, মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাং সদস্য শাকিল মীরকে ‘গাঁজাখোর’ বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিল, শানু ও সোহাগ পরিকল্পিতভাবে ফাহিমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। ফাহিমের বাবা ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

বক্তারা আরও বলেন, ঘটনার এক মাস পার হলেও পুলিশ অদৃশ্য কারণে আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। উল্টো আসামিরা নিজেদের ঘর পুড়িয়ে নিহতের বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

নিহতের বাবা মো. জাকির বয়াতি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, মাছ বিক্রি করে সংসার চালাই। কষ্টের টাকায় ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছিলাম। বিনাদোষে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার ৩০ দিন পার হলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, উল্টো আমাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।’

দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম আসামি গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা আসামি গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারবো।’

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ধলু ফকিরের বাজার এলাকায় ফাহিমের গতিরোধ করে শাকিল। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সে ছুরিকাঘাত করে। ফাহিমের বাবা জাকির বয়াতি এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। ফাহিমের পায়ের রগ কেটে যাওয়ায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

আরিফুল ইসলাম সাগর/এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

মানববন্ধন হত্যা / খুন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর