পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৫:২৪

পটুয়াখালীর বাউফল থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী সরোয়ার হোসেন (৪০)। ছবি : বাংলাদেশের খবর
পটুয়াখালীর বাউফলে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর চার বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী সরোয়ার হোসেন (৪০)।
শুক্রবার (০১ আগস্ট) ভোরে সরোয়ারের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তার ভাড়া বাসা থেকে স্ত্রী সালমা আক্তারের (৩২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজের শিশু সন্তান সারফরাজ আহম্মেদ সাকলাইনকে নিয়ে বাউফল থানায় হাজির হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি।
নিহত সালমা আক্তার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলী সরদারের মেয়ে। তিনি বাউফলের নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। অভিযুক্ত স্বামী সরোয়ার হোসেন জয় একই উপজেলার নদমুলা গ্রামের মৃত মোকসেদ আলী মাতব্বরের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বুধবার (৩০ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে স্ত্রীর ঘাড়ে চারটি কোপ দেন সরোয়ার। এতে ঘটনাস্থলেই সালমা আক্তারের মৃত্যু হয়। পরে বাসার দরজা-জানালা বন্ধ করে সন্তানসহ পালিয়ে যান তিনি।
অভিযুক্ত সরোয়ার হোসেন বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে গোপনে অন্য এক পুরুষকে আদালতে বিয়ে করেন। সেই বিয়ের কাগজ পেয়ে আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে অস্ত্রটি আমার হাতে আসলে আমিও আঘাত করি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সরোয়ার বলেছেন, স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত -এমন সন্দেহ থেকেই তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরিফুল ইসলাম সাগর/এমবি