Logo

সারাদেশ

নড়াইলে হাঁসের ডিম বিক্রি করে লাখপতি যুবক

Icon

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৫, ০৯:২৪

নড়াইলে হাঁসের ডিম বিক্রি করে লাখপতি যুবক

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নড়াইলের শোলপুরসহ আশপাশের বিল এলাকায় হাঁস পালন করে ভাগ্যবদল করছেন অনেক কৃষক ও যুবক।

বর্ষায় পানিভরা বিল-জলাশয়কে কাজে লাগিয়ে অস্থায়ী খামার গড়ে তুলেছেন তারা। হাঁসের ডিম বিক্রি করে প্রতিদিন আয় করছেন হাজার হাজার টাকা।

শোলপুর গ্রামের মো. হাদিউজ্জামান ছয় বছর আগে মাত্র ২০০ হাঁস দিয়ে খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে হাঁসের সংখ্যা ৫০০। প্রতিদিন উৎপাদিত প্রায় ৪০০টি ডিম বিক্রি করে তিনি মাসে আয় করছেন প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ডিম পাড়া শেষে হাঁস বিক্রি করেও বাড়তি আয় হয় প্রায় আড়াই লাখ টাকা।

দশম শ্রেণির ছাত্র মো. জাহিদ শেখও পড়াশোনার পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন নিজের হাঁসের খামার। বর্তমানে তার খামারে ২৫০টি হাঁস রয়েছে। প্রতিদিন ডিম বিক্রি করে তিনি আয় করছেন প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা, মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

শুধু শোলপুর নয়, বড়েন্দার বিল, ইছামতী, দুধপাতালসহ অন্তত ১২টি বিল ঘিরে ১৫০ জনের বেশি খামারি হাঁস পালন করছেন। বর্ষাকালে ধানক্ষেতে পানি জমে থাকায় ওই সময় হাঁস পালন সহজ ও লাভজনক হয়ে ওঠে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র জানায়, জেলায় বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৮০টি হাঁসের খামার রয়েছে। এসব খামারে ক্যামবেল, ইন্ডিয়ান রানার ও চায়না জাতের মোট ৩ লাখ ৫১ হাজার হাঁস পালন করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিবছর উৎপাদিত সাড়ে তিন কোটি হাঁসের ডিমের বাজারমূল্য প্রায় ৫২ কোটি টাকা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সিদ্দীকুর রহমান জানান, বিল অঞ্চলে হাঁস পালনে খামারিরা লাভবান হচ্ছেন। খাবারের জন্য বাড়তি খরচ কম লাগে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ খামারিদের প্রশিক্ষণ, ভ্যাকসিন ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর