Logo

সারাদেশ

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ন্ত্রণে এনামুল করিমের ‘অদৃশ্য সম্রাট’ হয়ে ওঠার অভিযোগ

Icon

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪৩

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ন্ত্রণে এনামুল করিমের ‘অদৃশ্য সম্রাট’ হয়ে ওঠার অভিযোগ

এনামুল করিম। ছবি : সংগৃহীত

দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দর। প্রায় দুই দশক ধরে আর এই বন্দরে ‘অপরিসীম প্রভাব’ বিস্তার করার অভিযোগ উঠেছে এখানকার পরিবহন বিভাগের পরিচালক এনামুল করিমের নামে। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তিনি একই বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এক ‘অপ্রকাশিত সাম্রাজ্য’ গড়ে তোলার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এনামুল করিমের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, কনটেইনার ছাড়পত্রে অনিয়ম এবং বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ এনেছে দুদক।  

দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেনের নেতৃত্বে এ অনুসন্ধান চলছে। বন্দর চেয়ারম্যানকে পাঠানো একাধিক চিঠিতে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়ের কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও ছাড়পত্র সংক্রান্ত নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।

দুদক বলছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মেসার্স ইউনিবেঙ্গল কনটেইনার ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি পাওনা হারায়। শিপিং এজেন্টের রিভলভিং অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট অর্থ না থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটিকে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়। সেই সময় বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার (অপারেশন) ছিলেন এনামুল করিম।

পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হয়ে পড়লে বকেয়া আদায়ে বন্দর কর্তৃপক্ষকে মামলা করতে হয়। তবে এখন পর্যন্ত ১৬০০ কনটেইনার আটকে রেখেও পাওনা টাকা আদায় সম্ভব হয়নি।

এনামুল করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি দীর্ঘ সময় ধরে একই বিভাগে থেকে প্রভাব বিস্তার করেছেন। তার বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাণিজ্য ও শ্রমিক নিয়োগেও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। ঘনিষ্ঠ তিন সহযোগীর মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানোর অভিযোগ উঠে এসেছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন বন্দর শ্রমিক কর্মচারী লীগের (রেজি: ২৭৪৭) সভাপতি মীর নওশাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল।

দুদকের চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এনামুল করিম নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এনামুল করিমের রাজনৈতিক পরিচয় সময়ের সঙ্গে বদলালেও বন্দরজুড়ে তার প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ কিংবা অভিযুক্ত কর্মকর্তার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর