Logo

সারাদেশ

ঢাকা-সিলেট রেলপথে চরম দুর্ভোগ, স্পেশাল ট্রেন চালুর দাবি

Icon

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৪৯

ঢাকা-সিলেট রেলপথে চরম দুর্ভোগ, স্পেশাল ট্রেন চালুর দাবি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সড়ক ও রেলপথ-দুই মাধ্যমেই এখন চরম ভোগান্তির শিকার সিলেট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অভিমুখী যাত্রীরা। সড়কে উন্নয়নকাজের কারণে দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আর রেলপথে আছে টিকিট সংকট, ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটি, হিজড়াদের চাঁদাবাজি, হকারদের দৌরাত্ম্য, টিকিটবিহীন যাত্রীদের ভিড় এবং নিরাপত্তার অভাব।

এ অবস্থায় সিলেটবাসীর দাবি, ঢাকা ও কক্সবাজার রুটে দুটি স্পেশাল ট্রেন এবং ময়মনসিংহ রুটে একটি নতুন ট্রেন চালু করা হোক। এতে একদিকে যেমন যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

প্রতিদিন ঢাকা-সিলেট রুটে যাতায়াত করা কয়েকজন ব্যবসায়ী-আবুল বাশার, লিয়াকত আলী ও আব্দুল হান্নান জানান, কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি তাদের যাতায়াতের প্রধান ভরসা। তবে ট্রেনে ওঠার পর থেকেই নানা দুর্ভোগের শুরু। হিজড়ারা দফায় দফায় চাঁদা তোলে; পান-সিগারেট থেকে শুরু করে গামছা-চাদর বিক্রেতা হকারদের চিৎকারে স্বস্তিতে ভ্রমণ করা সম্ভব হয় না।

কুলাউড়ার বাসিন্দা ও কাতারপ্রবাসী আতিকুর রহমান বলেন, ‘টিকিট না পেয়ে সিলেট থেকে এসি টিকিট কেটেও দাঁড়িয়ে যাত্রা করতে হয়েছে তাকে। আযমপুরে উঠেই শুরু হয় টিকিটবিহীন যাত্রীর ভিড়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ভৈরবে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীতে ঠাসা হয়ে যায় এসি বগি। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।’

ট্রেনে যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়েও আছে উদ্বেগজনক তথ্য। ২ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন সাংবাদিক মামুন তরফদার। আবার ১৩ জুলাই এক যাত্রীর স্ত্রীর গলায় পাথর পড়ে আহত হন শায়েস্তাগঞ্জে। এছাড়া ২৫ জুলাই পারাবত এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে আযমপুর স্টেশনে, তিন ঘণ্টা পর ট্রেন ছাড়ে।

রেলপথের যন্ত্রাংশজনিত সমস্যা নিয়মিতই দেখা দেয় বিশেষ করে লাউয়াছড়া পাহাড়ি পথ পার হওয়ার সময়। এই পথে অনেক সময় ট্রেন আটকে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

কুলাউড়া রেলস্টেশন মাস্টার রোমান আহমদ বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট রুটে ‘টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস’ নামে একটি স্পেশাল ট্রেন চালুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। ট্রেনের সময়সূচিও নির্ধারিত হয়েছিল, কিন্তু রহস্যজনক কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। মৌলভীবাজার পর্যটন জেলা হওয়ায় কক্সবাজার ও ময়মনসিংহ রুটে দুটি নতুন ট্রেন চালু হওয়া জরুরি।’সিলেট স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেটের দাবি আদায়ে কেউ নেই। যে ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদি স্পেশাল ট্রেন চালু হয়, তাহলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদীর লোকজনের অনিয়মও রোধ করা সম্ভব হবে।’

  • জিয়াউল হক জিয়া/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ রেলওয়ে জনদুর্ভোগ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর