লালমোহনে সড়কের বেহালদশা, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৭:১২
-(26)-6890958ad5a1c.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের শিমুলতলা থেকে শামছুল হক মাল বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কাঁচা রাস্তা দীর্ঘ তিন দশকেও সংস্কার হয়নি। রাস্তাটি এখন গর্ত ও খানাখন্দে ভরে গেছে। বর্ষা মৌসুমে কাদা-পানিতে পথচারী ও যানবাহন চলাচল একপ্রকার বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে প্রতিদিন সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা, স্কুলশিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ কয়েক হাজার মানুষকে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. শরফুদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘জনবহুল রাস্তাটি সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে একবার সংস্কার করা হয়েছিল। এরপর আর কোনো কাজ হয়নি। বছরের পর বছর পড়ে আছে অবহেলায়। বর্ষার সময় বড় গর্তে পানি জমে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।’
রাস্তাটির পাশের বাসিন্দা নীহার বালা, মিতা রানি, সবিতা রানি ও পারুল রানি বলেন, ‘বর্ষার সময় চলাচল করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। জরুরি প্রয়োজনে কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স তো দূরের কথা, ভ্যান বা মোটরসাইকেলও ঢুকতে পারে না।’
স্থানীয় অটোরিকশা চালক রাসেল ও ভ্যানচালক মামুন বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর ধরে এই রাস্তায় কোনো সংস্কার হয়নি। যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে প্রচণ্ড সমস্যা হয়। এমন দুর্ভোগ আর কতদিন সইতে হবে?’
পশ্চিম চর উদেম ৩নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাবাহা আহমেদ ও গৌরব দাস জানান, বৃষ্টির দিনে রাস্তায় কাদা-মাটি জমে যায়। জামাকাপড় নষ্ট হয়, স্কুলে পৌঁছাতে সমস্যা হয়। অনেক সময় যেতে না পেরে অনুপস্থিত থাকতে হয়।
প্রভাষক মো. ইবনুল হাসান ইমন বলেন, ‘রাস্তাটির বহু অংশে মাটি সরে গিয়ে গর্ত হয়েছে, কোথাও কোথাও রাস্তা সরু হয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষায় হাঁটুসমান কাদার কারণে এটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’
পশ্চিম চর উমেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন ও সহকারী শিক্ষিকা বিথীকা রানী দাস বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী এই রাস্তায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে স্কুলে আসে। অনেকে ঠিকমতো উপস্থিত থাকতে পারে না। বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার।’
পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু ইউসুফ বলেন, ‘রাস্তাটির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আইডি নম্বর উঠেছে। অনুমোদন পেলে এটি পাকাকরণ করা হবে।’
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ বলেন, ‘সামনের বরাদ্দ আসলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটি ইটের সলিং করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।’
- মো. সোয়েব মেজবাহউদ্দিন/এমআই