Logo

সারাদেশ

আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বালুমহাল

Icon

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৫৬

আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বালুমহাল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার শ্রীধরনগর গ্রামে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশেই বালুমহাল ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। স্থানীয়দের লিখিত আপত্তি ও দীর্ঘদিনের আন্দোলন-মানববন্ধনের পরও প্রশাসন তাতে কর্ণপাত না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রীধরনগর বালুমহালের চারপাশ ঘনবসতিপূর্ণ। মাত্র ৪০০ মিটার দূরেই রয়েছে একটি মসজিদ, একটি মাদ্রাসা ও আজিজুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া প্রায় ৬০০ মিটার দূরে রয়েছে আঞ্চলিক মহাসড়ক।

২০১০ সালের ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন’-এর ৬২ ধারার ৪ উপধারায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো আবাসিক এলাকা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সেতু বা মহাসড়কের আশপাশে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। তবু এসব নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে জেলা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় কৃষক ভুটোন বলেন, ‘প্রতিবছর বালু তোলার কারণে নদী ভাঙছে, আমাদের ফসলি জমি যাচ্ছে নদীগর্ভে। পানি উন্নয়ন বোর্ড গত বছর বস্তা ফেলে নদীতীর রক্ষা করলেও আবার ইজারা দেওয়ায় এবার এলাকা আরও হুমকিতে পড়বে। আমাদের ক্ষতির দায় কে নেবে?’

স্থানীয় ইউপি সদস্যরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, প্রশাসন যদি সময়মতো স্থানীয়দের কথা শুনত, তাহলে এমন সিদ্ধান্ত হতো না।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ‘সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থেই নির্ধারিত স্থানে নিয়ম মেনেই বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ যদি নিয়ম ভেঙে বালু উত্তোলন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • আফ্রিদি আহাম্মেদ/এমআই 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জনদুর্ভোগ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর