জ্বরের ‘ভুল ওষুধে’ ঝলসে গেল শিশুর শরীর, ফার্মেসি বন্ধ করে পালালেন ‘চিকিৎসক’

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২১:২১
-6890cfe2c4d36.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পল্লী চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ সেবনে শরীর ঝলসে গেছে ৯ বছরের এক শিশুর। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চরম যন্ত্রণায় ছটফট করছে শিশুটি।
ভুক্তভোগী শিশুর নাম নুরজাহান। সে নাগেশ্বরীর কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের টেপারকুটি গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে।
তার পরিবার জানায়, গত ২৯ জুলাই জ্বর হওয়ায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেনের কাছে নেয়া হয় নুরজাহানকে। তিনি বামনডাঙ্গার সবেদের মোড়ে ‘আল মদিনা’ নামে নিজের ফার্মেসি থেকে তিন ধরনের ওষুধ দেন।
ওষুধ সেবনের পরপরই নুরজাহানের শরীরে ফোঁসকা ওঠে। দ্রুত পুরো শরীরে ফুঁসকুড়ি ছড়িয়ে পড়ে এবং চামড়া উঠে যেতে থাকে। অবস্থা খারাপ দেখে গত ১ আগস্ট তাকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির বাবা ইউনুস আলী বলেন, ‘ডাক্তার পরিচয়ে যিনি ওষুধ দিয়েছেন, তিনি কোনো দায়িত্ব নিচ্ছেন না। মেয়েকে নিয়ে কয়েকবার গেলে তিনি এড়িয়ে যান।’
জানা যায়, অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন ‘আল মদিনা’ নামে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিতে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। সেখানে ডাক্তার সেজে প্রেসক্রিপশন প্যাড ব্যবহার করেন। নিজেকে ‘সরকারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক’ দাবি করলেও বাস্তবে তার কোনও বৈধ সনদ নেই।
এ বিষয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমি কেবল কয়েকটি জ্বরের ওষুধ দিয়েছি। এটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। জানি না কেন এমন হলো।’
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুজন সাহা জানান, বিষয়টি জানার পর একটি টিম পাঠানো হয়, কিন্তু অভিযুক্ত ফার্মেসি বন্ধ পেয়ে ফিরে আসে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এসডি/এআরএস