রামুতে রেলক্রসিংয়ে প্রতিনিয়তই ঘটে দুর্ঘটনা, তবুও নেই গেইট-নিরাপত্তা

ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন, কক্সবাজার
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০০
-689173d3758d3.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেললাইনের রামুর রশিদনগর এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে নেই গার্ড কিংবা গেইটবার। নেই কোনো নিরাপত্তা কর্মীও। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে প্রাণহানি।
গত শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে রশিদনগর রেলক্রসিংয়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন নিহত হন। ট্রেনের সামনের অংশে আটকে থাকা সিএনজি অটোরিকশাটি প্রায় আধা কিলোমিটার দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বদি আলম বলেন, অটোরিকশাটি রেললাইন পেরিয়ে ওঠার পরই ট্রেনটি ধাক্কা দেয়। ট্রেনের সঙ্গে আটকে গিয়ে সেটি টেনেহিঁচড়ে অনেকদূর যায়। নিহতদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে ছিটকে পড়ে বিভিন্ন স্থানে।
রেলওয়ের রামু স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আক্তার হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থল স্টেশন থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে। এটি একটি ছোট লেভেল ক্রসিং। সেখানে গেইট বা ব্যারিয়ার না থাকলেও সতর্কীকরণ বোর্ড থাকে। গেইট থাকে বড় ক্রসিংগুলোতে।’
স্থানীয় বাসিন্দা কলিমউদ্দিন বলেন, ‘এই ক্রসিংয়ে কোনো গার্ড বা গেইটবার নেই। তাই প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।’
আক্তার হোসেন আরও বলেন, ট্রেনের ইঞ্জিনের একেবারে সামনে কোনো বস্তু পড়লে সেটি সরাতে সময় লাগে। হয়তো এ কারণেই অটোরিকশাটি সরতে পারেনি।
দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রামুর পানিরছড়া এলাকায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দেয়। তাঁরা দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে দিলে আড়াই ঘণ্টা দেরিতে কক্সবাজার পৌঁছায়।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে।’
এআরএস