Logo

সারাদেশ

মেহেরপুরে ককটেল ফাটিয়ে সড়কে আবারও গণডাকাতি

Icon

মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩৬

মেহেরপুরে ককটেল ফাটিয়ে সড়কে আবারও গণডাকাতি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় এক মাসের ব্যবধানে ফের গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে গাংনী-ধানখোলা সড়কের হারেজ মোড়ে সশস্ত্র ডাকাত দল তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর রাস্তা অবরোধ করে অন্তত ২০ জন পথচারীর কাছ থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, ৭-৮ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র ও হাতবোমা নিয়ে হঠাৎ রাস্তার ওপর চড়াও হয়। বিস্ফোরণের পরপরই তারা বিভিন্ন দিক থেকে আসা পথচারীদের আটক করে এবং জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতির সময় ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে পুরো অপারেশন শেষ করে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

লুটের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন : ইয়াসির আরাফাত আলী (৭ হাজার টাকা), আব্দুল হালিম (৬০০ টাকা), শাহজামাল আলী (৫ হাজার টাকা), রেজিয়া খাতুন (৭০০ টাকা), মিন্টু হোসেন (১১ হাজার টাকা), মহব্বত আলী (২২০০ টাকা), মিন্টু আলী (৯৭০০ টাকা) এবং কুরসিয়া খাতুন (২৫০০ টাকা)।

তারা সবাই গাংনীর ধানখোলা, মহিষাখোলা ও আড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনার পর গাংনী থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘এটি পূর্বপরিকল্পিত একটি ডাকাতি। আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এবং অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও একই এলাকায় একাধিকবার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার দিক থেকে গাংনী থানা পুলিশের দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগও তুলেছেন অনেকে।

তাদের দাবি, থানা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিএসবি) কিছু কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ের দায়িত্ব ফেলে রাজনৈতিক দৌঁড়ঝাঁপে ব্যস্ত থাকেন, যার ফলে অপরাধীরা সহজেই এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারছে।

এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং গাংনী এলাকায় রাত্রিকালীন টহল জোরদার করতে হবে।

স্থানীয়দের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলা বিশেষ শাখার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর