ভোলার চরফ্যাসনে জমি বিক্রির টাকা হাতিয়ে নিতে সংখ্যালঘু দুই ভাইকে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ পুড়িয়ে গুমের ঘটনায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে চরফ্যাসন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারী জজ মো. শওকত হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—আসলামপুর ইউনিয়নের জাফর উল্লাহ ফরাজীর ছেলে মো. বেল্লাল (৩৭), দক্ষিণ চর মানিকার ইউনিয়নের সামসুদ্দিন বয়াতির ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৩০), এবং শাহ আলম মুনসির ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩১)।

অন্যদিকে, আবুল কাসেমকে ৫ মাসের এবং আবু মাঝিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল সংখ্যালঘু দুলাল চন্দ্র শীল ও তপন চন্দ্র শীলকে জমির টাকা হাতিয়ে নিতে গলা কেটে হত্যার পর তাদের মাথা বিচ্ছিন্ন করে পরিত্যক্ত বাগানে পেট্রোল ঢেলে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলে আসামিরা।

পরদিন পুলিশ সুন্দরীর খালসংলগ্ন বাগান থেকে দুইটি পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে নিহতদের ভাই নিপেন চন্দ্র সরকার ৯ এপ্রিল চরফ্যাসন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তিতে শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুইটি মাথার খুলি ও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

বাদী নিপেন চন্দ্র সরকার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।

চরফ্যাসনের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট হযরত আলী হিরন জানান, এই প্রথম চরফ্যাসন আদালতে কোনো হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ হলো। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন কারাগারে, বাকি দুইজন পলাতক। তাদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।

এম ফাহিম/এআরএস