ফেনীর শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার

এম. এমরান পাটোয়ারী, ফেনী
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৩
-6896cd2c0863d.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ফেনীতে জেলা পরিষদের আওতাধীন ৩৯৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বরাদ্দ ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এসব প্রকল্পের বড় অংশ এখনও সম্পন্ন হয়নি।
বেশিরভাগ ঠিকাদার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা কাজ শেষ না করে ৫ আগস্টের পর দেশে থেকে পালিয়ে গেছেন। ফলে কাজের গতি ধীর ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।
সরকারি বরাদ্দের মধ্যে ১৬৪টি প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি টাকা, ১৩টি বিশেষ প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং ২১৮টি রাজস্ব প্রকল্পের জন্য ৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, এসব প্রকল্পের কাজ মূল ঠিকাদার না করে ফেনীর তৎকালীন সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্দেশনায় জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল আফছার আপনের নেতৃত্বে দলীয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লাইসেন্সবিহীন ঠিকাদারদের দখলে যায়।
ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার প্রায় ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রকল্পের কাজ স্থানীয় শাসকদলের নেতারা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন। এর মধ্যে ফুলগাজীর প্রকল্পগুলো মেসার্স প্রিয়া-রিয়া এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হওয়ার কথা ছিল।
ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁওয়ের দুইটি প্রকল্পের জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেতে বিলম্ব হচ্ছে। অন্যদিকে, ‘ফারাহ ইন্টারন্যাশনাল’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজের তাগিদ দেওয়া হলেও কোনও অগ্রগতি নেই।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সিন্ডিকেট ও দলীয় লোকজনের অংশগ্রহণে প্রকল্পগুলো সম্পূর্ণ হয়নি। ঠিকাদাররা কাজ ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নতুন দরপত্র আহ্বানের দাবি উঠেছে।
ফেনী জেলা পরিষদের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিযুক্ত এলজিইডি সহকারী প্রকৌশলী মো. মইনুল ইসলাম বলেন, পাঁচ সদস্যের যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা প্রকল্পগুলোর হালনাগাদ তথ্য দেবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ ফেনীর উপ-পরিচালক গোলাম মো. বাতেন জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরানো প্রকল্প বাস্তবায়ন কঠিন হওয়ায় অবাস্তবায়িত প্রকল্প বদল করে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
এআরএস