Logo

সারাদেশ

মশার কয়েলের আগুনে কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাই, ৫ গরুর মর্মান্তিক মৃত্যু

Icon

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৩:০১

মশার কয়েলের আগুনে কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাই, ৫ গরুর মর্মান্তিক মৃত্যু

ছবি : বাংলাদেশের খবর

হাতে ছিল স্বল্প পুঁজি, বাকিটা ঋণ নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন ভাগ্য বদলের। কিন্তু এক রাতে সেই স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আগুনে পুড়ে মারা গেল আদর-যত্নে লালন করা পাঁচটি গরু।

সোমবার (১১ আগস্ট) ভোররাতে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার আড়াইপাড়া বেগবাড়ি এলাকায় এ হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী কৃষক শাহ আলম বেগ বলেন, ‘মশার উপদ্রব থেকে গরুকে রক্ষা করতে তিনি নিয়মিত মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতেন। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে বাইরে তাকাতেই দেখতে পান গোয়ালঘরের চারপাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। প্রাণপণে গরুগুলোকে বাঁচাতে ছুটে যান তিনি। চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে প্রায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে গোয়ালঘরের ভেতরে থাকা চারটি গরুই জীবন্ত পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আরেকটি দগ্ধ হয়ে বাইরে চলে আসে। আরেকটি গরুর অবস্থা বেগতিক দেখে জবাই করা হয়।’

শাহ আলম আরও বলেন, ‘মারা যাওয়া চারটি গরুর মধ্যে দুটি ষাঁড় গরু, একটি গাভি ও একটি বকনা বাছুর ছিল। তিনি কৃষি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ করেছেন। তিনি বলেন, আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। কীভাবে আমার সংসার চলবে, বুঝতে পারছি না। কয়েক মাসের কষ্ট আর আশা-সবকিছু শেষ হয়ে গেল। অন্তত ৬-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে।’

স্থানীয়রা জানান, শাহ আলমের এই গরুগুলোই ছিল তার পরিবারের প্রধান অবলম্বন। হঠাৎ ঘটে যাওয়া এই অগ্নিকাণ্ডে পরিবারটি এখন সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গরুকে খাওয়ানোর জন্য গোয়ালঘরে তুলা রেখেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, স্তূপ করে রাখা তুলার এক বস্তা জ্বলন্ত কয়েলের ওপরে পড়ে। সেখান থেকে গোয়ালঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শাহ আলমের পাশে দাঁড়িয়ে যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার, আমরা তা চেষ্টা করব।’

  • এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

অগ্নিকাণ্ড নিহত

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর