স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৩৬
---2025-08-11T143620-6899ab932ab26.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন রনিসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
রোববার (১০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর পাঁচজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, রাফি, সিফাত ও সুহানের নাম জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় চলমান স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের ১৪তম দিনে বিকেলে দুই গ্রুপের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব ও ধূমপান নিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। সংঘর্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারী নেত্রীরাও জড়িত ছিলেন।
এ ঘটনার পর দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সেনা সদস্যরা লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আন্দোলনের ক্ষতি ঠেকাতে রাতেই বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমঝোতা বৈঠকেই হাতাহাতি থেকে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। এতে মহিউদ্দিন রনিসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
মহিউদ্দিন রনির অভিযোগ, স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন ভেঙে দিতে তাদের ওপর একটি পক্ষ হামলা করেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলার সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন বলেন, নথুল্লাবাদের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএম কলেজে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মূলত সিনিয়র-জুনিয়র বিষয় থেকেই উত্তেজনার সূত্রপাত। গুরুতর আহত পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর জানান, আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক কেউ নেই।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে ঘটেছে। পুলিশ সেখানে প্রবেশের অনুমতি না থাকায় ভেতরে ঢোকেনি। তবে হাসপাতাল ও ক্যাম্পাস এলাকায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’
এমআই