তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৯

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছবি : বাংলাদেশের খবর
উজানের পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। এছাড়া ডালিয়ায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৩২ দশমিক শূন্য মিলিমিটার (সকাল ৯টায়)।
বুধবার (১৩ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টায় কমে তা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পাউবোর গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) নুরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মঙ্গলবার রাত থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। বুধবার সকাল ৬টায় ওই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়। আবার সকাল ৯টার দিকে ওই পানি ২ সেন্টিমিটার কমে তা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সারা রাতের বৃষ্টিপাতের ফলে বুধবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে চরগ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন বলেন, এলাকার লোকজন বন্যার আতঙ্কে দিনযাপন করছে। এছাড়াও নিম্নাঞ্চল ও বিস্তীর্ণ এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। যে কোনো সময় লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, বুধবার ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের কারণে সকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টায় ২ সেন্টিমিটার কমে তা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। বন্যার পানি সামাল দিতে ব্যারাজে ৪৪টি জলকপাট (আইস গেট) খুলে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তৈয়ব আলী সরকার/এমবি