Logo

সারাদেশ

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, বন্দি ১৫ হাজার মানুষ

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫২

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, বন্দি ১৫ হাজার মানুষ

ছবি : সংগৃহীত

উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নীলফামারী ও লালমনিরহাটের অন্তত ৪৫টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টায় নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার চেয়ে ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, বুধবার সকালে প্রথমে পানি ৭ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে, পরে কমে ৪ সেন্টিমিটারে নামে। কিন্তু রাতের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ভোরে তা আবার বেড়ে ১১ সেন্টিমিটার হয় এবং বৃহস্পতিবার আরও বেড়ে যায়। 

এর ফলে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চর ও নিম্নাঞ্চলও তলিয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, জুলাইয়ের শেষ ও আগস্টের শুরুতে দুটি বন্যার পর এবার তৃতীয় দফায় পানি বেড়েছে। তারা ত্রাণের বদলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি করেছেন।

আদিতমারীর গোবর্ধন গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, ‘সাত দিন ধরে রান্না করতে পারিনি। গরু-ছাগল ও পরিবারকে উঁচু জায়গায় রেখেছি। সাহায্যের চেয়ে চাই, পানি যেন না আসে।’ খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল আলীম বলেন, ‘বারবার বন্যায় ধান, পাট, মাছ সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা ছাড়া মুক্তি নেই।’

ডিমলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে পানি বাড়তে শুরু করে। এতে তিস্তাপারের চরাঞ্চলে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, কয়েকটি চ্যানেল ভেঙে আবাদি জমি প্লাবিত হয়েছে। সেগুলো বন্ধে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ চলছে।

পাউবো জানিয়েছে, আগামী দুই দিন ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকতে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডালিয়া ব্যারাজের সব ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

চলতি মৌসুমে এটি তিস্তায় তৃতীয় দফা বন্যা। জুলাইয়ের ২৯ ও আগস্টের ৩ তারিখে বিপৎসীমা অতিক্রমের পর এবার ১৩ আগস্ট থেকে পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই বিপদের শঙ্কা এখনো কাটেনি।

  • ডিআর/এটিআর

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বন্যা ঝড় ও বৃষ্টি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর