Logo

সারাদেশ

সিলেটে পাথর কোয়ারি এখনই খুলে দেওয়ার দাবি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৫

সিলেটে পাথর কোয়ারি এখনই খুলে দেওয়ার দাবি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর

সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনের জমিয়ত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী | ছবি : সংগৃহীত

সিলেটের বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো এখনই পরিবেশবান্ধব উপায়ে খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট-৪ আসনের খেজুরগাছ প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী। তার অভিযোগ, কোয়ারি বন্ধ থাকলেও অনিয়ন্ত্রিতভাবে অবৈধ পাথর ও বালু উত্তোলন চলছে, এতে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পর্যটন শিল্পের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ আলী বলেন, ২০২০ সাল থেকে জাফলং, বিছনাকান্দি ও ভোলাগঞ্জে পাথর উত্তোলনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি সত্ত্বেও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু নিয়মনীতি ও সীমানা নির্ধারণ ছাড়া অনিয়ন্ত্রিতভাবে পাথর তোলা শুরু হয়, যা অল্প সময়েই জাফলং ও ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের পর্যটন স্পটগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

মোহাম্মদ আলীর মতে, সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতায় এসব অবৈধ উত্তোলন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নিয়মনীতি প্রণয়ন করে ইজারার মাধ্যমে এবং সীমানা নির্ধারণ করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের সুযোগ দিলে পরিবেশ রক্ষা হতো, পর্যটনশিল্প টিকে থাকত, রাজস্ব আয় বাড়ত এবং পাথরলুট বন্ধসহ স্থানীয় মানুষের জীবিকা নির্বাহের পথ সুগম হতো।’

মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, সিলেটের উত্তরাঞ্চল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্যাস–পাথরসহ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। সঠিক ব্যবস্থাপনা না হলে এই অঞ্চলের পর্যটনশিল্প ও প্রাকৃতিক পরিবেশ—দুটিই মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে।

উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহে সিলেটের সাদা পাথর এলাকায় কয়েক দফা পাহাড়ি ঢল নামে। প্রতিবারই ঢলের তোড়ে স্তরে স্তরে পাথর ও বালু নামে। এবার দফায় দফায় ঢলের পর শুধু বালু দেখা গেছে। বালুর স্তর সরিয়ে পাথর লুটপাট হয়েছে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, দুই সপ্তাহে অন্তত শতকোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে।

প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরে ২০১৭ সালে পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর উৎসমুখে পাঁচ একর জায়গাজুড়ে জমা হয় পাথর। ঢলের তোড়ে সেখানে সর্বশেষ ১৯৯০ সালে একবার পাথর জমা হয়েছিল। তবে পাহাড়ি ঢলের পর লুটপাটে সেসব পাথর নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল।

২৭ বছরের মাথায় ফের পাথর জমা হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পাহারায় সংরক্ষিত হয়। ওই বছর থেকে পুরো এলাকাটি প্রাকৃতিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়। কিন্তু অভিযোগে বলা হচ্ছে, প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়ে এবারও পাথর লুটের শিকার এলাকাটি।

  • রেজাউল হক ডালিম/এটিআর

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

সংসদ নির্বাচন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর