তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ২০:২৭

ছবি : সংগৃহীত
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার)। যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর। এর আগে দুপুর ১২টায় পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ১৫ সেন্টিমিটার ও ভোর ৬টায় ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
জানা গেছে, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তার নিম্নাঞ্চলুগুলো প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারী, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈলমারী, নোহালী, আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, বাহাদুরপাড়া, পলাশী এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুর খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে রোপা আমন ধান। বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে ভুগছেন পানিবন্দি মানুষগুলো।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার গণমাধ্যমকে জানান, তিস্তা নদীর পানি বর্তমানে (বিকেল ৩টায়) বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ৫২ দশমিক ৩০ মিটার, যেখানে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বল্পমাত্রার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত সমাধানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।
ডিআর/এএ