Logo

সারাদেশ

নদীভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় পটুয়াখালীর আশ্রয়ণ প্রকল্প, দুর্ভোগে ৭১ পরিবার

Icon

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪৮

নদীভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় পটুয়াখালীর আশ্রয়ণ প্রকল্প, দুর্ভোগে ৭১ পরিবার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরা এলাকায় জেলেদের জন্য নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নদী ভাঙনের কারণে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। ঘর পেয়েও সেখানে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ নেই। এই প্রকল্পে বসবাস করা ৭১টি পরিবার দিন কাটাচ্ছে উদ্বেগ ও আতঙ্কের মধ্যে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সমুদ্রের সঙ্গে লড়াই করে জীবিকা নির্বাহ করা জেলেরা দীর্ঘ সময় ধরে বসবাসের জন্য স্থায়ী জায়গা পায়নি। নদীর ধারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়ায় তারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন, কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে তা ভাঙন ও ঝড়-বন্যার কারণে ব্যবহারযোগ্য নয় হয়ে উঠেছে।

জেলেরা জানায়, খাপড়াভাঙ্গা নদীতে দ্রুত গতির ট্রলার ও নৌযানের কারণে নদীর ঢেউ আশ্রয়ণ প্রকল্পে আঘাত হানছে। ফলে ঘরগুলো ভেঙে যেতে পারে, এবং ছোট-বড় সবাই আতঙ্কে বসবাস করছে। অভাব-অনটন ও দুর্ভোগের মধ্যে ঘর মেরামত সম্ভব হচ্ছে না।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা লাইলী বেগম বলেন, ‘আমরা যে ঘরে বসবাস করছি, তা মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে পানি পড়ছে। দরজা-জানালা নেই, টিনও ক্ষয়ে গেছে। পলিথিন ও তিরপাল দিয়ে কোনো মতে বেঁচে আছি।’

কলাপাড়া উপজেলা ফিশিং ট্রলার মাঝি ও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন মাঝি বলেন, ‘স্থানীয় ট্রলারগুলো আস্তে চালায়, কিন্তু দূরবর্তী ট্রলারগুলো দ্রুত চলাচল করছে। এর ফলে ভাঙন কমছে না।’

লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবো। আশা করি দ্রুত সময়ে নদী ভাঙন রোধ করা হবে।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইয়াসীন সাদেক বলেন, ‘জরাজীর্ণ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর মেরামতের জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বন্যা জনদুর্ভোগ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর