Logo

সারাদেশ

করতোয়া নদী রক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ভাঙা হচ্ছে ডায়াবেটিক হাসপাতাল

Icon

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৫২

করতোয়া নদী রক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ভাঙা হচ্ছে ডায়াবেটিক হাসপাতাল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

করতোয়া নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো বগুড়া শহরের নবাববাড়ী রোডে নদীর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবু শাহমার নেতৃত্বে ডায়াবেটিক হাসপাতালে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই করতোয়া নদী দখলমুক্ত করতে অভিযান চলছে। সম্প্রতি শহরের এসপি ব্রিজ থেকে শুরু করে টিএমএসএস এর মেরিন একাডেমি পর্যন্ত সকল অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনে শহরের রাজাবাজার এলাকার আড়তদার শ্রী কানাই লাল জয়সোয়াল ময়নার 'কৃষ্ণ ভাণ্ডার' নামের একটি আড়ত ও বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। দ্বিতীয় দিনে শহরের নবাববাড়ী রোডে নদীর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবু শাহমার সঙ্গে ছিলেন বগুড়া সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র সরকার, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল ইসলাম এবং পানি উন্নয়ন উপ-বিভাগ-১ বাপাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মাদ আছাদুল হক। এসময় নদীর সীমানা নির্ধারণ করতে সার্ভেয়ার ও  আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের একটি দল সহায়তা করে।

অভিযানের বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবু শাহমা বলেন, ‘করতোয়া নদী রক্ষায় এমন অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে। গতকাল শহরের রাজাবাজার এলাকায় কিছু অবৈধ স্থাপনা আমরা ভেঙে দিয়েছি। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো ডায়েবিটিক হাসপাতালের মাঝে নদীর যে দখলকৃত জায়গা রয়েছে সেই অংশ চিহ্নিত করে ভাঙা হচ্ছে। যেহেতু এটি একটি হাসপাতাল তাই রোগীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দিয়ে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন উপবিভাগ-১ বাপাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মাদ আছাদুল হক বলেন, ‘আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা আশা করছি নদী আবারও তার আগের রূপে ফিরবে। যেকোনো ভাবে করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত করা হবে। এছাড়াও করতোয়া প্রোজেক্ট পাশ হওয়ার মধ্যে আছে। এটি প্রায় ১২'শ কোটি টাকার প্রোজেক্ট।’

  • জুয়েল হাসান/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ভ্রাম্যমাণ আদালত

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর