তিন যুগেও সংস্কার হয়নি রূপগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ বেইলি ব্রিজ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৪৫
-68a471f41db2d.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নগরপাড়া-মাঝিনা সড়কের ছনেরটেক-নগরপাড়া খালের উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি তিন যুগ পার হলেও সংস্কার হয়নি। ভারী যানবাহনের চলাচলের কারণে ব্রিজটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
১৯৯১ সালে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয় ছনেরটেক-নগরপাড়া বেইলি ব্রিজ। নির্মাণের মাত্র এক বছর পর থেকেই এর নাট-বল্টু খুলে পড়তে শুরু করে।
দীর্ঘ ৩৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রিজটির কোনো সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে ব্রিজের স্টিলের প্লেট ও রেলিং ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। যানবাহন উঠলেই পুরো ব্রিজ কাঁপতে থাকে, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
স্থানীয় ছাত্রী নাফিসা ইসলাম মাইশা বলেন, ‘গাড়ি ব্রিজ দিয়ে উঠলেই বিকট শব্দ হয়। রাতে এই শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। ছোটরা ভয় পেয়ে আঁতকে ওঠে।’
অটোচালক মুসা মিয়া জানান, ব্রিজের প্লেটের ফাঁকে চাকা আটকে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার না করলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজ দিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলার খামারপাড়া, নগরপাড়া, কামশাইর, বালুরপাড়, ঈদেরকান্দি, দাসেরকান্দি, নয়ামাটি এলাকা ছাড়াও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করেন। ফলে প্রতিদিনই এ ব্রিজে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের চলাচলে ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।
মাঝিনা মৌঝার ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি মামুন মিয়া বলেন, ‘ব্রিজে প্রতিনিয়ত যানজটের কারণে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।’
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন জানান, বিষয়টি সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন। উপজেলা থেকে এ বিষয়ে কিছু করার নেই।
নারায়ণগঞ্জ সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমার জানা মতে জেলায় কোনো বেইলি ব্রিজ নেই। ছবি দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না। স্থানীয়ভাবে পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে ব্রিজটির সংস্কার অথবা নতুন ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন।
এন বি আকাশ/এআরএস