---2025-08-23T215726-68a9e56d9d176.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
সিলেটে ঘটে গেছে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যার মরদেহ নিয়ে মা ও স্বজনরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন, সেই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে জীবিত।
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকার গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম নাইমকে (১৪) জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, গোয়ালাবাজার সংলগ্ন ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বগুড়া রেস্টেুরেন্টের কর্মচারী ছিল রবিউল ইসলাম নাঈম। গত ২৬ জুলাই রেস্টুরেন্ট থেকে সে নিখোঁজ হয়। পরে ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার মরদেহটি নিখোঁজ রবিউলের বলে শনাক্ত করেন।
ওই সময় রবিউলের পরিবার অভিযোগ করে- বগুড়া রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া রবিউলকে হত্যা করে কুলাউড়ায় মরদেহটি ফেলে রেখেছিলেন।
এদিকে, মরদেহ উদ্ধারের পর ওসমানীনগর থানায় রবিউলের পরিবার মামলা দায়ের করতে যায়। মামলার চেষ্টা করা হয় কুলাউড়া থানায়। কিন্তু দুটি থানাই প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করায় ৬ আগস্ট সেই মরদেহ নিয়ে রবিউলের মা ও স্বজনরা গোয়ালাবাজার এলাকায় সিলেট-মহাসড়ক অবরোধ করেন।
অন্যদিকে, শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জ নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকা থেকে রবিউলকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ বলছে- তার পরিবারের সদস্যরাই তাকে খুঁজে পায়। ওই এলাকায় রবিউলের নানার বাড়ি।
পরে পুলিশকে খবর দিলে কুলাউড়া থানাপুলিশ রবিউলকে হেফাজতে নিয়ে শনিবার (২৩ আগস্ট) তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য মৌলভীবাজার আদালতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘রবিউল আত্মগোপনে ছিল। তার পরিবারের সদস্যরই তাকে জীবিত পেয়ে আমাদেরকে খবর দেন। আমরা তাকে হেফাজতে নিয়ে আদালতে পাঠিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগের মরদেহ ও দায়েকরৃত মামলার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।’
- মো. রেজাউল হক ডালিম/এমআই