ঢাকার আশুলিয়ায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে শাহ্ সিমেন্ট কোম্পানির কাভার্ড ভ্যানের চালক মো. শামীম হোসেন (৩০) মারা গেছেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান। 

এর আগে সকাল ৮টার দিকে  ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিশমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এক রিকশা চালক তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শামীম হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার গোবিন্দপুর এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকায় থেকে শাহ্ সিমেন্ট কোম্পানির কাভার্ডভ্যানে করে ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় সিমেন্ট সরবরাহ করতেন।

ঘটনাস্থল থেকে শামীমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া রিকশাচালক সাগর আলী বলেন, বিশমাইলে যাত্রী নিয়ে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে সকাল ৮টার দিকে বিশমাইলে লোকজনের জটলা দেখি। পরে সেখানে গিয়ে দেখি শামীম নামের এই গাড়ি চালক রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে। সেখানে থাকা লোকজনের মধ্যে একজন উদ্যোগ নিল যে তাকে মেডিকেলে নেওয়া দরকার। পরে সবাইমিলে আমার রিকশায় শামীমকে তুলে দিলে আমি তাকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে আসি। হাসপাতালের ভিতরে নেওয়ার সময় তিনি মারা যান। তার শরীর থেকে অনেক রক্ত ঝরেছিল। তাই তিনি নিস্তেজ ছিলেন, তেমন কথা বলতে পারেন নি।

এনাম মেডিক্যালের ইমারজেন্সি ডিউটি অফিসার ইউসুফ আলী বলেন, সকাল সোয়া ৮টার দিকে আমাদের হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় একজন গাড়ির চালককে আনা হয়। তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আমরা চিকিৎসার সুযোগ পাইনি। পরে থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সাভার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান বলেন, ‘সংবাদ পাই এনাম মেডিক্যালে একটি লাশ আছে। পরে হাসপাতালে এসে প্রাথমিক সুরতহাল করেছি। সুরতহাল করে নিহতের পায়ের হাঁটুর ওপর গভীর ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। আমরা নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছি, ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’ 

• হাসান ভুঁইয়া/এমআই