ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রী ও যানবাহন চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। 

সোমবার (২৫ আগস্ট) গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া এ যানজট মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টা পর্যন্ত ছিল। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

জানা গেছে, মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর থেকে মদনপুর হয়ে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত উভয় লেনে যানজটে আটকা পড়েন যাত্রী ও চালকরা। অপরদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জ অংশেও একই অবস্থা। কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, দাউদকান্দি এলাকায় একটি দুর্ঘটনা ও মহাসড়কে ট্রাক দাঁড় করিয়ে চালকদের ঘুমিয়ে পড়ার কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়।

চিটাগাং রোড থেকে মোগরাপাড়ার উদ্দেশে যাত্রী রনি মিয়া বলেন, কাঁচপুর থেকে ছোট একটি বাসে ওঠার পর প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে কাঁচপুর বিসিক এলাকায় আটকা ছিলাম। প্রায় দুই ঘণ্টায় লাঙ্গলবন্দ এসে সড়ক স্বাভাবিক পেয়ে কোনোমতে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছি। এখনো যানজট রয়েছে।

মোগরাপাড়া চৌরাস্তার নাফ পরিবহনের যাত্রী ইমরান হোসেন জানান, তিনি কাঁচপুরে যাচ্ছিলেন। বাসে ওঠার পর জাঙ্গাল এলাকায় পৌঁছেই যানজটে পড়ে। গাড়ি ধীরে ধীরে প্রায় আড়াই ঘণ্টায় মদনপুরে আসে। একপর্যায়ে তিনি বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে কাঁচপুরে পৌঁছান।

রূপগঞ্জের তারাবো থেকে চিটাগাং রোডে যাচ্ছিলেন পান ব্যবসায়ী সুমন মিয়া। তিনি তারাবো থেকে একটি বাসে চড়ে কাঁচপুরে পৌঁছাতে দেড় ঘণ্টা লেগেছে। যেখানে সাধারণত সময় লাগে ১৫–২০ মিনিট।

এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, ট্রাকচালকদের ডেকে ডেকে ঘুম থেকে জাগিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ধীরে ধীরে যানবাহন সচল হতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা সড়কে আছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, দাউদকান্দি এলাকায় একটি সড়ক দুর্ঘটনার কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আমরা রাত থেকেই রাস্তায় থেকে যানজট স্বাভাবিকের চেষ্টা করে সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছি। তবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কিছুটা যানজট রয়েছে।

মো. সজীব হোসেন/এমবি