কালীগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযানে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার প্রমাণ মিলেছে

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৭:১১
-68ad966967a16.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার চিত্র উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করে দুদক।
সহকারী পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বিশেষ দল অংশ নেন। অভিযানের পর স্থানীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক।
তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে ছদ্মবেশে টানা দুই ঘণ্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবজারভেশন করেছি। এতে আমরা বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। যেমন জরুরি বিভাগে যারা সহকারী হিসেবে কাজ করেন, তারা ব্যান্ডেজ বাধা বা ওষুধ দেওয়ার পর ৫০/১০০ টাকা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
অভিযোগগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হবে, পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের অর্থ ও সেবার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজেও অনিয়মের দায় স্বীকার করেছেন।’
অভিযোগগুলোতে উঠে এসেছে—কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত দেরিতে অফিসে আসছেন, ফলে রোগীরা সঠিক সময়ে সেবা পাচ্ছেন না; সরকার নির্ধারিত ৩ টাকার পরিবর্তে রোগীদের কাছ থেকে ৫ টাকা করে টিকিট নেওয়া হচ্ছে; হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ আল্ট্রা-সোনোগ্রাম ও এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে আছে, ফলে রোগীদের বাইরে বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে; বরাদ্দকৃত খাবারের মান ও পরিমাণ অত্যন্ত নিম্নমানের; রান্নাঘর ও হাসপাতালের পরিবেশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর; স্টোরের মজুদ মালামালের হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার মিল পাওয়া যায়নি।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানা রশিদ বলেন, ‘আমি সবাইকে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি। তাদের ব্যর্থতার কারণে পুরো দায়ভার আমাকে নিতে হচ্ছে।’
রফিক সরকার/এআরএস