জুলাই গণঅভ্যুত্থান : জাবিপ্রবির কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীসহ ৫১ জনকে শাস্তি

জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৯:১৮
-68adb42c46ff5.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জাবিপ্রবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও সামাজিক মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে ৫১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত ১৩ সদস্যবিশিষ্ট গণতদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন—সহকারী রেজিস্ট্রার আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান, সেকশন অফিসার রাসেল মাহমুদ ও মোতাব্বির হোসেন, কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মির্জা হালিম এবং উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী সোহাগ সরকার।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর অপরাধে জড়িত ২১ জন এবং অপেক্ষাকৃত কম অপরাধে জড়িত ২৪ জন।
গুরুতর অপরাধে জড়িতদের মধ্যে জাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাওসার আহমেদ স্বাধীন ও যুগ্ম আহ্বায়ক-১ পলাশকে পাঁচ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসির আরাফাত সৌরভ, মোকাররম হোসেন, মোশারফ হোসেন, আভিমান সরকার, সেবক দাস, মাসুদ রানা, ইতিসার সানি ইমন, ছাত্র হল শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং ছাত্রী হল শাখার সভাপতি ঐশীসহ যেসব শিক্ষার্থী স্নাতক সম্পন্ন করেছেন, তাদের সনদপত্র স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া ছাত্রীদের ওপর নির্যাতন ও ভয় দেখানোর অভিযোগে ছাত্রলীগ নেত্রী প্রিয়া সরকার, ছাত্র হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম ইমন এবং ছাত্রলীগ আহ্বায়ক স্বাধীনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিনসহ মোট সাতজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
গুরুতর অপরাধে জড়িতদের জন্য শাস্তির মধ্যে রয়েছে বহিষ্কার বা সনদপত্র স্থগিত, হল থেকে আজীবন বহিষ্কার, সিট বাতিল, তিরস্কার ও মুচলেকা প্রদান। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত লঘুদণ্ডপ্রাপ্ত ২৪ শিক্ষার্থীকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার, সিট বাতিল, তিরস্কার এবং মুচলেকা দিতে হবে।
শাস্তিপ্রাপ্ত ৪৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ জন ছাত্রী এবং ৩৬ জন ছাত্র। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধি ২০১৯ অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষকদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তাদের বিচারকার্য দ্বিতীয় ধাপে শুরু হবে এবং আগামী সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মেহেদী হাসান/এআরএস