কাউখালীতে স্বাস্থ্য সেবায় ধস, দেড় লাখ মানুষের ভরসা দুই চিকিৎসক

পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৩৭
-68adb89a061c9.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ জনবল সংকট চরমে উঠেছে। ১৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে বর্তমানে রয়েছেন মাত্র দুইজন। যার মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। ফলে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা সেবা, প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়ছেন সেবাগ্রহীতারা।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের চাপে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও না থাকায় অনেকে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। পাঁচটি ইউনিয়নের সাবসেন্টারে থাকার কথা পাঁচজন মেডিকেল অফিসার, কিন্তু সেখানে একজনও নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ৯ জন মেডিকেল অফিসারের পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র দুইজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সময় একজন চিকিৎসক একাই আউটডোর, ইনডোর ও জরুরি বিভাগের সেবা দিচ্ছেন। প্রতিদিন এখানে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন।
হাসপাতালে ভর্তি রোগী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কাছে ডাক্তার আসে না, শুধু নার্সরাই আসে। দিনে একবার ডাক্তার এলেও রাতে ডাক্তার দেখা যায় না।’
উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত কর্মকার বলেন, ‘ডাক্তার সংকটের কারণে বেশিরভাগ সময় আমাকে একাই আউটডোর, ইনডোর ও জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। দিনে কাজ করার পর রাতেও নাইট ডিউটি করতে হয়। এতে নিজেই অসুস্থ হওয়ার উপক্রম।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি আউটডোরে রোগী দেখার চেষ্টা করি। চিকিৎসকসহ জনবল সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সমস্যাগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’
পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘কাউখালীতে চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি আমার জানা আছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে।’
সৈয়দ বশির আহম্মেদ/এআরএস