দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন এটিএন বাংলার পাবনা প্রতিনিধি মোবারক বিশ্বাস—এমন অভিযোগ উঠেছে জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দীর্ঘ ছয় মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তির আদেশ পান মোবারক বিশ্বাস। তবে, ‘সময় শেষ হয়ে গেছে’ এই অজুহাতে সোমবার বিকেলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। সকাল থেকে পাবনা জেলা কারাগারের ফটকে অপেক্ষা করতে থাকেন তার স্ত্রী, স্বজন এবং পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

বেলা ১১টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি মাইক্রোবাস কারাগারের ভিতরে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পর আসে পাবনা সদর থানার একটি গাড়ি। পরে ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম নিজেই জেলগেটে উপস্থিত হন এবং মোবারক বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা গ্রেপ্তারের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে ডিবির ওসি তা দেখাতে ব্যর্থ হন।

তিনি জানান, ‘উপরের নির্দেশ আছে, গ্রেপ্তারি পেপারস প্রস্তুত হচ্ছে।’

পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়, যখন সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে আসেন এবং চাটমোহর থানার একটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখিয়ে মোবারক বিশ্বাসকে জেলগেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার করেন।

এ ঘটনার পর সাংবাদিক মহলে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা এটিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং হয়রানিমূলক ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, পাবনার এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার পরিকল্পনায় মোবারক বিশ্বাসকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পাবনার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ মোবারক বিশ্বাসের অবিলম্বে মুক্তি ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন। তারা সতর্ক করে বলেছেন, অন্যথায় কঠোর আন্দোলন করা হবে।

কামাল/এআরএস