গ্যাস সংকটের কারণে গত আড়াই মাস ধরে দেশের বৃহত্তম ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি অচল হয়ে আছে। ১ হাজার ৬১০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার সাতটি ইউনিটই বর্তমানে বন্ধ থাকায় জাতীয় গ্রিডে বড় ধরনের বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহে সংকট চলছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৯ জুন ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫ নম্বর ইউনিট, ১৩ জুন ৩৬০ মেগাওয়াটের ৪ নম্বর ইউনিট এবং ১৪ জুন একই ক্ষমতার ৭ নম্বর ইউনিট উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

সার কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সংযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিকল্প উপায়ে গ্যাস সংযোগের জন্য ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।

কেন্দ্রটির প্রধান প্রকৌশলী এনামুল হক বলেন, ‘৪, ৫ ও ৭ নম্বর ইউনিটে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই। গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেলেই ইউনিটগুলো তাৎক্ষণিকভাবে পুনরায় উৎপাদনে ফিরতে সক্ষম হবে।’

তিনি আরও জানান, গত জুনের শুরুতে ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩ নম্বর ইউনিটের টারবাইনের রোটারের ব্লেডে ত্রুটি দেখা দেয়। বর্তমানে এর মেরামত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। গ্যাস সরবরাহ চালু হলে এই ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যাবে।

কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালের জুনে অগ্নিকাণ্ডে ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৬ নম্বর ইউনিটের টারবাইন পুড়ে যায়। সেই থেকে ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১ ও ২ নম্বর ইউনিট বহুদিন ধরেই অকার্যকর। বর্তমানে ৩ নম্বর ইউনিট মেরামতের শেষ ধাপে থাকলেও গ্যাস সংকটের কারণে পুরো কেন্দ্রটির উৎপাদন শূন্য মেগাওয়াটে নেমে এসেছে।

দেশের সবচেয়ে বড় এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় জাতীয় গ্রিডে মারাত্মক বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দ্রুত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

এআরএস