ফেনীতে অপারেশনের ৭ মাস পর রোগীর পেট থেকে বের হলো ১ কেজি গজ

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৮:০৭
-68b046644dfc7.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের আল কেমী হাসপাতালে ফরিদা ইয়াসমিন (৪০) নামে এক সিজারিয়ান রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই দেওয়ার অভিযোগে তার স্বজনরা ফেনী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার সাত মাস পর বুধবার রাতে ফেনীর আরেকটি প্রাইভেট হাসপাতালে সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. আজিজ উল্লাহ রোগীর পেট থেকে প্রায় ১ কেজি ওজনের এবং এক ফুট লম্বা গজ বের করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের প্রবাসী মহি উদ্দিন উদ্দিনের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আল কেমী হাসপাতালে ডা. তাসলিমা আক্তারের তত্ত্বাবধানে সিজার অপারেশন করান। অপারেশনের সময় রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই দেওয়া হয়। চার দিন পর রিলিজের পর বাড়িতে রোগীর পেটে ব্যথা দেখা দেয়। পরবর্তীতে ডা. তাসলিমা আক্তার রোগীকে ব্যথার ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠান।
এরপর রোগীর স্বজনরা তাকে অন্য কয়েকজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন করেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রোগীর পেটে অদৃশ্য বস্তু থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় এবং পুনরায় অপারেশনের প্রয়োজন হয়। বুধবার রাতে আল বারাকা হাসপাতালে তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোগীর পেট থেকে গজ বের করা হয়।
রোগীর স্বামী মহি উদ্দিন জানান, এই ঘটনায় গত সাত মাসে তাদের প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে এবং পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। রোগীর ভাই সাংবাদিক মো. শাহা ফয়সাল বলেন, দুই পরিবারের সদস্যরা শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ বাবদ ৫ লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।
রোগীর ভাই সাংবাদিক মো. শাহা ফয়সাল বাদী হয়ে ফেনীর সিভিল সার্জন ও ফেনী মড়েল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ফেনী সিভিল সার্জন ডা. রুবাইয়াত বিন করিম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ফোন দিলে ডা. তাসলিমা আক্তার ফোন রিসিভ করেননি।
আল কেমী হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, বিষয়টি জানি এবং রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ডাক্তারকে নিয়ে সমস্যা সমাধান করা হবে।
এআরএস