এবার চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার সিকদার লিটন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৪৭
-68b04fd7a457d.png)
সিকদার লিটন
হত্যা, চাঁদাবাজিসহ কয়েক ডজন প্রতারণা মামলার আসামি সিকদার লিটন গ্রেপ্তার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফরিদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ ও উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে মামুনুর রশিদ বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় আজ শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
সিকদার লিটন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর হোসেন বুলবুলের পিএস ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন এমপির ছত্রছায়ায় নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে ঢাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে একাধিক হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে করা বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলার এজাহারনামীয় আসামি তিনি।
২০২০ সালে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সিকদার লিটনকে ভাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আবারও প্রতারণামূলক মিথ্যা মামলা বাণিজ্য শুরু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ অনেকের নামে তিনি মিথ্যা মামলা দেন।
এর আগে চলতি বছরের ৫ মে ঢাকার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় ফরিদপুর থেকে ডিবি পুলিশ সিকদার লিটনকে গ্রেপ্তার করে।
অনেকের অভিযোগ, সিকদার লিটন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের প্রতারণা করে আসছিলেন। মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বিকাশে তিন মাসে সাড়ে ২২ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন কারাগারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জাবেদ নামে একজন যুবক। নিহতের পরিবারের সঙ্গে লিটনের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও খালাতো ভাই দাবি করে কেরানীগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন লিটন সিকদার। এই মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছেন। ঘটনা জানাজানি হলে নিহত জাবেদের ভাই মাইনুদ্দীন ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।