চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪৬

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকায় সংঘাতের ঘটনায় আগামীকাল রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় একটি গ্রামের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও অনেকে আহত হন। রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন লন্ডনি বিল্ডিং এলাকার কাছে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, তিন দিক থেকে স্থানীয়রা তাদের ওপর হামলা চালায়। সংঘর্ষ চলাকালে শিক্ষার্থীদের কয়েকজনকে স্থানীয়দের বাড়িঘর লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। উভয় পক্ষই ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়, যার ফলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন
এর আগে শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে একই এলাকায় এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দর্শন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ওই নারী শিক্ষার্থী ২ নম্বর গেটের মাছ বাজার এলাকায় ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ঢোকার সময় দারোয়ানের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়রা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন।
চবি মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ টিপু সুলতান জানান, বহু শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে, গুরুতর অবস্থার শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে আমরা একাধিক নিরাপত্তা টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তবে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকায় তাদের এক জায়গায় এনে দিকনির্দেশনা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত উপস্থিতিও সময়মতো ছিল না।’
সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে।
ডিআর/এমএইচএস