হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত ৪৮ হাজার টন চাল আমদানি

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৬
-68b6cb212a7b0.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুল্কমুক্ত চাল আমদানি করা হচ্ছে। ১২ আগস্ট থেকে এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। প্রথম দিকে প্রতিদিন ২০–২৫ ট্রাক চাল আসলেও চাহিদা বেড়ে এখন প্রতিদিন ৮০–১০০ ট্রাক চাল আমদানি হচ্ছে।
বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বাড়ায় বাজারে সব ধরণের চালের দাম কমতে শুরু করেছে। বেশি দাম কমেছে চিকন জাতের চালের, তবে স্বর্ণা-৫ জাতের চালের দাম তেমন হ্রাস পায়নি। দাম কমায় সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরে সরেজমিনে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত ভারত থেকে সম্পা কাটারি, মিনিকেট, ৪০/৯৪ এবং স্বর্ণা-৫ জাতের চাল আমদানি হচ্ছে। আমদানি শুরুর সময় সম্পা কাটারি চালের দাম কেজিতে ৭০ টাকা ছিল, যা এখন কমে ৬৬ টাকা কেজি। ৪০/৯৪ জাতের চালের দাম কমে ৫৭ টাকা কেজি এবং মোটা স্বর্ণা-৫ চালের দাম কেজিতে ৫২ টাকা থেকে ৫০ টাকা হয়েছে।
হিলি বন্দরে চাল কিনতে আসা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী রফিক বলেন, ‘ঢাকা থেকে এখানে আসছি। চালের মান ভালো এবং দামও কম। গত কয়েক দিনে ২ হাজার টন চাল কিনেছি। চলতি আমদানি অনুযায়ী দাম আরও কমবে।’
নাটোর থেকে আসা ব্যবসায়ী মাহবুব জানান, ‘হিলি বন্দরে চাল কিনতে সুবিধা আছে। অন্য বন্দরগুলোতে গুদামে গুদামে ঘুরে মান যাচাই করতে হয়, কিন্তু এখানে সরাসরি চাল বোঝাই ট্রাক থেকে মান দেখে দাম নির্ধারণ করা যায়। এতে সময় ও ঝামেলা কমে।’
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, ‘সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর আমরা চাল আমদানি শুরু করেছি। প্রতিদিন ৮০–১০০ ট্রাক চাল আসছে। বাজারে দাম ৩–৪ টাকা কমেছে। অন্যান্য বন্দরে আমদানি হলে দাম আরও কমবে।’
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এমআর জামান বাঁধন জানান, ‘হিলি বন্দরে ভারত থেকে আমদানিকৃত চাল দ্রুত ছাড়রকরণের জন্য ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। যেহেতু চাল আমদানে শুল্ক নেই, ব্যবসায়ীরা শুধু ২% অগ্রিম আয়কর দিয়ে খালাস করতে পারছেন।’
কাস্টমসের তথ্যমতে, ১২ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৩৬ ট্রাকে মোট ৪৮ হাজার ৪শ ৭১ টন চাল আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
মো. লুৎফর রহমান/এআরএস