Logo

সারাদেশ

চাঁদাবাজির মামলায় ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপির পিএসের জামিন আবেদন নাকচ

Icon

ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:২৬

চাঁদাবাজির মামলায় ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপির পিএসের জামিন আবেদন নাকচ

ছবি : সংগৃহীত

চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর হোসেন বুলবুলের পিএস সিকদার লিটনের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ফরিদপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন সুলতানা সুমি। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা।

সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে ঢাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে একাধিক হত্যা, হত্যা-চেষ্টা মামলা রয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে করা বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলার এজাহারনামীয় আসামি তিনি।

এর আগে ২০২০ সালে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সিকদার লিটনকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আবারও প্রতারণামূলক মিথ্যা মামলা বাণিজ্য শুরু করে বলে অভিযোগ রয়েছে লিটনের বিরুদ্ধে। 

সিকদার লিটন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের প্রতারণা করে আসছিল। মামলা বাণিজ্যে পারদর্শী লিটনের বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব আলামতসহ তার বিকাশে তিন মাসে সাড়ে ২২ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে।

পাঁচ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন কারাগারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জাবেদ নামে এক যুবক। নিহতের পরিবারের সঙ্গে লিটনের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও খালাতো ভাই দাবি করে কেরানীগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করে সিকদার লিটন।

এই মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। ঘটনা জানাজানি হলে নিহত জাবেদের ভাই মাইনুদ্দীন ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

আরও যত অভিযোগ সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে 

কারা হেফাজতে তথাকথিত নির্যাতনের শিকার এমন ভুয়া অভিযোগে পুলিশসহ বহু কারা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন লিটন। এর আগে মামলায় নাম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে অর্থ আদায় ছিল তার প্রধান উদ্দেশ্য। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী, নেতার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এবং ঢালাওভাবে কারারক্ষীদের আসামী করার অভিযোগ রয়েছে তার নামে।

২০২৪ সালের অক্টোবরে ফরিদপুরের ডাচ বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা জামাল আবু নাসের ও আব্দুল আজিজের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলার অভিযোগ রয়েছে লিটনের নামে। একইভাবে আরেকটি চাঁদাবাজির ভুয়া অভিযোগে ফরিদপুরের আদালতে মামলার আবেদন করেন তিনি। ওই আবেদনে ফরিদপুর-১ নির্বাচনী এলাকার পরস্পরবিরোধী একাধিক নেতার নাম দেন তিনি।

অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার্জশিটভুক্ত মামলার আসামি লিটন। পাবনায় একজন ব্যবসায়ীর করা প্রতারণার মামলায় ‘অর্থ হাতিয়ে’ নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি।

দুদক বলছে, বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম, দালালি, প্রতারণা এবং মানুষকে ঠকিয়ে টাকা নেয়াই ছিল লিটনের মূল কাজ। এভাবে অনেকের সঙ্গেই তিনি প্রতারণা করেছেন। বর্তমানে দুদকের মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

ডিআর/এএ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

মামলা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর