বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘রাজধানীর ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসার মতো আমার বাসা ভেঙে যদি দেশে শান্তি আসে, তবে আমি আমার বাসা ভাঙার সমর্থন করছি।’

তিনি এ ঘটনায় কোনো দল বা নেতাকর্মীর দোষারোপ করেননি। তবে এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।

রোববার ( ৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাস ভবন সোনার বাংলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছি না। প্রায় ২৬ বছর আগে আওয়ামী লীগ ছেড়ে নিজেই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রতিষ্ঠা করেছি। শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের জনগণকে ভালোবাসি ও সম্মান করি।’

সংবাদ সম্মেলনে তার ছোট ভাই শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকীসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের জেলা সদর সড়কের কাদের সিদ্দিকীর বাসা সোনার বাংলায় হামলা চালিয়ে গাড়ি ও জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয়।

বাসার কেয়ারটেকার রাজু মিয়া জানান, ‘রাতে স্যার দ্বিতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলেন। এসময় ১০–১৫ জন দুর্বৃত্ত বাসায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, মই দিয়ে গেইট টপকে প্রবেশ করে দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করে। আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।’

বাসাইলে কাদেরিয়া বাহিনী ও ছাত্র সমাবেশের ব্যানারে পৃথক সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. আকলিমা বেগম শনিবার রাতে এ আদেশ জারি করেন। রোববার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানবীর আহাম্মেদ জানান, ‘পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুতই জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

রেজাউল করিম/এআরএস