Logo

সারাদেশ

ধামরাই বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির কমিটি নিয়ে বিতর্ক

Icon

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৩৫

ধামরাই বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির কমিটি নিয়ে বিতর্ক

ঢাকার ধামরাই পৌর বেসরকারি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকুর দুই শ্যালককে। তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ আছে। এ কমিটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। দাবি উঠেছে, কমিটি বাতিল করার।

গত ২৯ আগস্ট ১৪ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতি করা হয়েছে আইকন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক, ধামরাই পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মো. সেলিম খানকে। আর সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সন্ধানী এক্স-রে অ্যান্ড প্যাথলজির মালিক মো. কাইয়ুম খান পাভেলকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হাসপাতাল মালিক বলেন, ‘১৪টি হাসপাতালের মালিককে নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। মূলত আওয়ামী লীগের লোকজনকে দায়িত্বে আনা হয়েছে। আমরা এই কমিটি বাতিলের দাবি জানাই। সবাইকে নিয়ে কমিটি করার দাবি করছি।’

ধামরাইয়ের বেসরকারি চয়নিকা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মারুফ শিকদার বলেন, ‘আমার কাছে কমিটির তালিকা নেই। তবে শুনেছি তিনি আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি সাকুর শালা, ওই দাপটে আমাদের কোনঠাসা করেছিলেন। আমরা ইসলামপুর এলেই পাঁচ মিনিটে পুলিশ চলে আসতো। তারা সহযোগিতা না করলে হয়রানি হতাম না। কমিটির বিষয় পাভেল আমাকে বলেছিল। আমি সব হাসপাতাল মিলে করার কথা বলি। সবার সঙ্গে কথা বলি। পরবর্তীতে তারা কমিটি করে ঘোষণা দেয়। তবে তারা কিভাবে কমিটি করলো, এই বিষয় জানি না।’

ধামরাই পৌর বেসরকারি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম খান বলেন, ‘আমি কোনো পার্টি করি না। ছবি যে পোস্ট হয়েছে, সেখানে বিএনপির এমপি মানু দাওয়াত করছেন, বেনজির দাওয়াত করছেন, মেয়র দাওয়াত করছেন। মানুর স্ত্রী আবার বলছেন, ‘ভাই আসাই লাগবে’। তার অনুরোধে ওখানে গিয়েছি, ছবি তুলেছে। আমি আওয়ামী লীগ বা কোনো পার্টি করি না। কোনো মিছিল মিটিংয়ে যাইনি। সাকু সাব আমার দুলাভাই। পাভেল আমার চাচাতো ভাই। সবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক।’

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঞ্জুর আল মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি মাত্র শুনলাম। যদি এরকম হয়, সমিতি যেটা আছে, মালিকদের মধ্যে যদি এর বাইরে কারো সমস্যা না থাকে, ঠিক করা যেতে পারে। যদি কেউ অভিযোগ করে, এটা বাতিল করা কোনো বিষয় নয়। মালিকদের মধ্যে কেউ এলে বিষয়টি সমাধান করা সহজ হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে অনুমোদনহীন পরিচালনার কারণে মো. সেলিম খানের আইকন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সিলগালা করেছিলেন। তবে সেই আদেশ অমান্য করেই তিনি প্রকাশ্যে হাসপাতাল সচল রাখেন। আদালত অবমাননার এই বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল।

আরিফুল ইসলাম সাব্বির/এমএইচএস 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর