Logo

সারাদেশ

সমুদ্র সৈকতে নিখোঁজ কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:১৪

সমুদ্র সৈকতে নিখোঁজ কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ থাকা কলেজ ছাত্র জুহায়ের আয়মান (১৭) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় সমিতি পাড়া এলাকা সংলগ্ন সৈকত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

জুহায়ের আয়মান বগুড়া পৌরসভার কাটনারপাড়া ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. শরিফুল ইসলামের সন্তান। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিমের নিকট আত্মীয়।

পর্যটন শাখার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার) মো. আজিম খান জানান, বগুড়া থেকে ভ্রমণে আসা তিন কলেজ শিক্ষার্থী গত রোববার বেলা আড়াইটার দিকে লাবণী পয়েন্টে গোসলে নেমেছিলেন। এ সময় ঢেউয়ের ধাক্কায় তারা তিনজনেই সাগরে তলিয়ে যান। লাইফগার্ড সদস্যরা দুজনকে জীবিত উদ্ধার করলেও আয়মান নিখোঁজ ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, তার সন্ধানে গভীর রাত পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস ও লাইফগার্ডের যৌথ তল্লাশি চালানো হয়েছিল। আজ ভোরে লাশ পাওয়া গেছে।

এদিকে মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের আবেদন করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। তাই এর আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ বগুড়া নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে, জানিয়েছেন জুহায়ের আয়মানের মামা মো. মোজাহিদুর রহমান।

আয়মানের মামা মো. মোজাহিদুর রহিম জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের আবেদন করা হয়েছে। তাই এর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ বগুড়া নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

সি-সেফ লাইফগার্ডের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহমদ বলেন, সৈকতের কয়েকটি স্থানে গুপ্তখাল রয়েছে। সৈকতের লাবণী পয়েন্টের যে স্থান থেকে এ পর্যটক নিখোঁজ হন, সেখানে লাল পতাকা দিয়ে বিপজ্জনক স্থান বোঝানো হয়েছিল। তাই পর্যটকদের সমুদ্র সৈকতে গোসলে নামার আগে লাইফগার্ডের সতর্কতা মেনে চলা উচিত।

এর আগে গত ৮ জুলাই মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তিন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও অরিত্র হাসান নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ দুই মাসেও উদ্ধার হয়নি।

ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

মরদেহ উদ্ধার

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর