Logo

সারাদেশ

চিলমারীতে সেতু নির্মাণে অনিয়ম, হাতের চাপেই ভাঙছে গাইড ওয়াল

Icon

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:০৩

চিলমারীতে সেতু নির্মাণে অনিয়ম, হাতের চাপেই ভাঙছে গাইড ওয়াল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পাত্রখাতা খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুতে চরম অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া এই সেতুর সংযোগ সড়কের গাইড ওয়ালের স্লাব হাতের চাপেই ভেঙে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সেতুর মূল কাঠামোর কাজ শেষ হলেও বর্তমানে সংযোগ সড়কের গাইড ওয়ালের কাজ চলছে। কিন্তু স্লাবে হাতের সামান্য চাপেই কংক্রিট ভেঙে ধুলায় পরিণত হচ্ছে। এতে স্পষ্ট যে নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকায় রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৮ মিটার দীর্ঘ সেতুটির কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর। দরপত্র অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৮ জুন কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। পরে কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। ৩ কোটি ৪০ লাখ ৩১ হাজার ২৯৬ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করছে মেসার্স বসুন্ধরা ও মেসার্স খায়রুল এন্টারপ্রাইজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মূল সেতুর কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ চলমান। গাইড ওয়ালের ভাঙা স্লাবগুলো এক পাশে জমা করে রাখা হয়েছে।

রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল আজিজ আকন্দ বলেন, ‘নির্মাণকাজের সময় সিমেন্ট-পাথরের গুণগত মান ঠিক ছিল না। এখন তার ফল ভোগ করছি। স্লাবে হাতের চাপেই কংক্রিট ভেঙে যাচ্ছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (৫৫) বলেন, ‘এই সেতু আমাদের একমাত্র চলাচলের পথ। কিন্তু এত নিম্নমানের কাজ হচ্ছে যে এর স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কায় আছি। বারবার অভিযোগ করেও কাজের মান ঠিক হয়নি।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী লেলিনের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।

উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার আলী বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা সেতু এলাকায় যাই। সেখানে কিছু বাতিল ব্লক স্লাবের ওপর রাখা ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো অপসারণ করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। নিম্নমানের ব্লক ব্যবহার করা হবে না।’

এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জনদুর্ভোগ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর