Logo

সারাদেশ

বাগেরহাটে চার আসন পুনর্বহালের দাবিতে হরতাল, উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা

Icon

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:১১

বাগেরহাটে চার আসন পুনর্বহালের দাবিতে হরতাল, উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়েছে। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো অবরোধ করা হয়।

মঙ্গলবার বিক্ষোভ এবং বুধবার-বৃহস্পতিবার টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন নেতারা।

হরতাল নিশ্চিত করতে বাগেরহাট-খুলনা-পিরোজপুর মহাসড়কের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের দশানী, নওয়াপাড়া, কাটাখালি, মোল্লাহাট সেতু, সাইনবোর্ড বাজার, ফয়লা, মোংলা বাসস্ট্যান্ডসহ অন্তত ২০টি পয়েন্টে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ ছিল।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসে তালা ঝোলানো হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মিছিলসহকারে অবস্থান নেন হরতালকারীরা। জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. ফকরুল হাসানের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। পরে তারা বিকল্প পথে নিজ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বাড়তি ভাড়া, সীমিত পরিবহন এবং প্রচণ্ড গরমে নারী-শিশুরা দুর্ভোগে পড়েন। শরণখোলা থেকে আদালতে আসা ফররুখ আহমেদ বলেন, ‘বাস চলেনি। ইজিবাইক আর ভ্যান সীমিত ছিল। এজন্য চার শতাধিক টাকা খরচ হয়েছে।’

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, হরতালের কারণে সড়ক পথে কোনো পণ্য পরিবহন হয়নি। তবে বন্দরের অভ্যন্তরে জাহাজে পণ্য খালাস ও বোঝাই স্বাভাবিক ছিল। নদীপথের পরিবহনও চালু ছিল।

সারা দিনের হরতালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আন্দোলনকারীরা বলছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও আইনি প্রক্রিয়ায় চার আসন পুনর্বহাল করা সম্ভব হবে। তবে দাবি আদায় না হলে তারা উচ্চ আদালতে রিট করবেন।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আজ হরতাল করেছি, কাল মিছিল করব, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার হরতাল হবে। এরপরও নির্বাচন কমিশন অবস্থান না বদলালে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব।’

হরতালে বিএনপির সাবেক এমপি শেখ মুজিবর রহমান, সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, ব্যারিস্টার শেখ জাকির হোসেনসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা অংশ নেন।

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চার আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসনের প্রস্তাব দেয় এবং ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এর বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামে স্থানীয়রা।

শেখ আবু তালেব/এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বিএনপি হরতাল নির্বাচন কমিশন নির্বাচন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর